মুন্সীগঞ্জ জেলা
আকর্ষণ সমূহ
তথ্য
ঐতিহাসিকভাবে বিক্রমপুর নামে পরিচিত মুন্সীগঞ্জ মধ্য বাংলাদেশে অবস্থিত একটি জেলা। ঢাকা বিভাগে অবস্থিত এই জেলার মোট আয়তন ২৩৫৯৭৪ একর (৯৫৪ বর্গকিলোমিটার) যার মধ্যে ১৩৮৪৭২ একর (৫৬০ বর্গকিলোমিটার) জমি চাষযোগ্য এবং ৫৬০৯ একর (৯৫৪ বর্গকিলোমিটার) জমি পতিত। মুন্সীগঞ্জ জেলায় কোন বনভুমি নেই। এই জেলার ৪০২৭৭ একর (১৬৩ বর্গ কিলোমিটার) জমিতে সেচ দেওয়া হয় এবং ২৬২৪২ একর (১০৬ বর্গ কিলোমিটার) জমি নদীর তলদেশে অবস্থিত। এছাড়া ১৪টি নদী প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে এই জেলায়। প্রাচীনকালে বিক্রমপুর রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত মুন্সীগঞ্জ জেলা পশ্চিমে মেঘনা এবং ধলেশ্বরী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সেন শাসনামলে পূর্ব বাংলার বিক্রমপুর ছিল নদিয়ার পর সেনদের দ্বিতীয় রাজধানী। ১২০৪ সালে বখতিয়ার খিলজির হাতে নদিয়ার পতনের পর সেন রাজা লক্ষ্ণসেন বিক্রমপুরে পালিয়ে এসে পূর্ব বাংলা শাসন করেন। ১২০৬ সালে লক্ষ্মণসেনের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরি বিশভারুপাসেনা এবং কেসাভাসেনা প্রায় ১২২৩ সাল পর্যন্ত বিক্রমপুর শাসন করেছিলেন। তবে কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন লক্ষ্মণসেনের পুত্ররা ১২৪৩-৪৫ সাল পর্যন্ত বিক্রমপুর শাসন করেছিলেন। ১৩শ শতকের মধ্যেভাগে চন্দ্রদ্বীপের দেব রাজা দশরথদেব দানুজমাধব (দানুজ রায়) সেনদের বিক্রমপুর থেকে উৎখাত করেন এবং ১৩শ শতকের শেষ অবধি দক্ষিন-পূর্ব বাংলায় শাসন করেন। পূর্বে এই অঞ্চলের নাম ছিল ইদ্রাকপুর। মুঘল আমলে মুন্সী হায়দার হোসাইনকে এই অঞ্চলের শাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। মুন্সী ছিলেন একজন মহৎ ব্যাক্তি যার বিশেষ খ্যাতি ছিল মানবতার কল্যাণে কর্মকাণ্ডের জন্য। এরই ফলশ্রুতিতে ইদ্রাকপুরের নামকরন করা হয় মুন্সী হায়দার হোসাইনের নামে। প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় সুবিধার কারনে ১৯৪৫ সালে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই অঞ্চলকে সাব ডিভিশন হিসেবে উন্নীত করে। ১৯৮৪ সালের ১লা মার্চ মুন্সীগঞ্জকে ঢাকা বিভাগের জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মুন্সীগঞ্জের পুরো এলাকাই সমতল এবং এখানে কোন পাহাড়ি ভূমি নেই।
Where to stayঢাকার পাশেই অবস্থিত হওয়ার পরও মুন্সীগঞ্জ জেলায় থাকার জন্য ভালমানের হোটেল খুঁজে পাওয়া কঠিন। ঢাকা থেকে এখানে এসে মানুষ ঐদিনই ফিরে যেতো। তবে মুন্সীগঞ্জ শহরে থাকতে হলে আপনি ‘হোটেল কমফোরটে উঠতে পারেন। এছাড়া হোটেল থ্রি স্টার ইন্টারন্যাশনালেও উঠতে পারেন তবে এই হোটেলের কক্ষের মান তেমন উন্নত নয়। উভয় হোটেলেই কক্ষের মানভেদে ভাড়া পরবে ১০০/- টাকা থেকে ৭০০/- টাকা। মুন্সীগঞ্জ ও এই জেলার আশেপাশে অবস্থিত কিছু হোটেল, গেস্ট হাউজ ও রিসোর্ট সম্পর্কে তথ্য নিম্নে প্রদান করা হলঃ ১। মাওয়া রিসোর্ট যোগাযোগঃ মোঃ আলী ফোনঃ ০১৭১১৬৭৬০৫৮ ২। পদ্মা রিসোর্ট যোগাযোগঃ মোঃ আলী ফোনঃ ০১৭১৩০৩৩০৪৯ ৩। পদ্মা রেস্ট হাউজ যোগাযোগঃ নির্বাহী প্রকৌশলী সেতু বিভাগ, সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয় ফোনঃ ০১৭১৫৫৬১৯৩৩
How to goঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জে বেশকিছু বাস চলাচল করে। এসব বাসের মধ্যে সবচেয়ে ভালমানের হল ঢাকার গুলিস্তান থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘নয়ন পরিবহন’ এবং ‘ঢাকা ট্রান্সপোর্ট’। ৩০/- টাকা থেকে ৪০/- টাকা ভাড়ায় দুই ঘণ্টার মধ্যে আপনি মুন্সীগঞ্জে পৌছাতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার পোস্তগোলা থেকে ‘গাংচিল’ নামে একটি বাস মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এছাড়া পোস্তগোলা থেকে সিএনজি অটোরিকশায় ২৫০/- টাকা থেকে ৩৫০/- টাকা ভাড়ায় আপনি মুক্তারপুর সেতুতে পৌছাতে পারবেন। তবে, সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করলে সেতুর টোল ২০/- টাকা কে পরিশোধ করবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন।