মানিকগঞ্জ ও সাভারে দিনব্যাপী ভ্রমন
- সকাল ৮টা : আপনাকে বাসা থেকে বের হতে হবে।
- সকাল ১০:৩০ মিনিট-দুপুর ১২:৩০ মিনিট: বালিয়াটি জমিদারবাড়ি ঘুরে দেখা।
- দুপুর ১টা-দুপুর ২টাঃ নবীনগরে মধ্যাহ্নভোজের পর ধামরাই ধাতবপল্লীর উদ্দেশ্যে যাত্রা।
- দুপুর ২টা-দুপুর ৩টাঃ ধাতব শিল্পীদের সাথে পরিচয় পর্ব।
- দুপুর ৩টা-বিকাল৪টাঃ মৃৎশিল্পীদের সাথে সাক্ষাতের পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন।
- বিকাল ৫টাঃ ঢাকায় প্রত্যাবর্তন।
ভ্রমনের বিস্তারিত বিবরণঃ
সকাল ১০:৩০ মিনিট-দুপুর ১২:৩০ মিনিট: বালিয়াটি জমিদারবাড়ি | ঘুরে দেখতে আনুমানিক সময় লাগবেঃ ২ ঘণ্টা
মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াতি গ্রামে বালিয়াটি জমিদারবাড়ি অবস্থিত। এই ঐতিহাসিক ভবনটি প্রায় ২০০ বছর পুরাতন। ১৬০০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত সুবিশাল এই জমিদারবাড়িটিতে প্রায় ২০০টি কক্ষ রয়েছে। রাজধানী থেকে প্রায় ৬৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জমিদারবাড়িটি দেশের অন্যতম ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থান।
দুপুর ২টা-দুপুর ৩টাঃ ধাতবশিল্প পল্লী | ঘুরে দেখতে আনুমানিক সময় লাগবেঃ ১ ঘণ্টা
প্রায় ১২০০ বছরের পুরাতন ঐতিহ্যকে ধারন করে ধামরাইয়ের প্রায় ৩০টি গ্রামে আজও টিকে আছে ধাতবশিল্প পল্লী। এখানে ধাতব শিল্পীরা ধাতু দিয়ে অপূর্ব কাঠামো(বিশেষ করে বিভিন্ন কাল্পনিক চরিত্রের প্রতিমা) নির্মাণ করে থাকে। ধাতবশিল্প পল্লীতে কিছু গ্রাম দুর্গম স্থানে অবস্থিত হওয়ায় বৃষ্টির সময় সেখানে পৌছাতে আপনার নৌকার সহায়তা নিতে হতে পারে।
দুপুর ৩টা-বিকাল ৪টাঃ জাতীয় স্মৃতিসৌধ | ঘুরে দেখতে আনুমানিক সময় লাগবেঃ ৪৫ মিনিট
বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারীদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে। ঢাকার কেন্দ্র থেকে মাত্র ৩৭ কিলোমিটার দূরে সাভারের নবীনগরে অবস্থিত এই স্মৃতিসৌধে কংক্রিটের তৈরি ৭টি সমান্তরাল স্থাপনা রয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশী জাতির মুক্তির প্রতীক।