নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে দিনব্যাপী ভ্রমন:
- সকাল ৮টা : আপনাকে বাসা থেকে বের হতে হবে।
- সকাল ১০টা-১১টা: পানামনগরের প্রাচীন রাস্তা দিয়ে হাঁটাহাটি।
- সকাল ১১:০৫ মিনিট- দুপুর ১২:৪৫ মিনিট: সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর পরিদর্শন
- দুপুর ১টা- ১:৩০ মিনিট:কলাপাতা রেস্টুরেন্টে মধ্যাহ্ন বিরতি
- দুপুর২টা- ২:৪৫ মিনিট:বৈদ্দের বাজার/আনন্দ বাজারে ফিরে আসা
- দুপুর ৩টা-বিকাল ৪:৩০ মিনিট: নুনেরটেক (স্থানীয় একটি চর) পরিদর্শন
- সকাল ৫টা : ঢাকায় ফিরে আসা।
ভ্রমনের বিস্তারিত বিবরণঃ
সকাল ১০টা-১১টা: পানামনগর | ঘুরে দেখতে আনুমানিক সময় লাগবেঃ ১ ঘণ্টা
পানাম নগর স্থাপন করেছিলেন বাংলায় বাণিজ্য করতে আসা কয়েকজন ব্যবসায়ী। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক থেকে ২.৫ কিলোমিটার উত্তরে মোগড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত পানামনগর বর্তমানে একটি পরিত্যাক্ত শহর। বলা হয়ে থাকে ১৩শ শতকের সপ্তম দশকে সোনারগাঁওয়ের হিন্দু রাজধানী ছিল পানামনগর। এখানে আপনি দেখতে পাবেন লাল ইট দিয়ে নির্মিত চমৎকার দোতলা বাড়ি।
সকাল ১১:১০ মিনিট- দুপুর ১২:৩০ মিনিট: সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর | ঘুরে দেখতে আনুমানিক সময় লাগবেঃ ১ ঘণ্টা
সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘরে রয়েছে বেশকিছু অদ্বিতীয় সংগ্রহ যেগুলো আপনি অন্য কোথাও দেখতে পাবেন না কেননা এসব সংগ্রহের বেশীরভাগ এদেশ থেকে হারিয়ে গিয়েছে। বাংলার শাসক ঈশা খাঁ জাদুঘরের মূল ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এই স্থানটিকে জাদুঘরে রুপান্তর করার জন্য শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের নিকট হস্তান্তর করে। বর্তমানে সপ্তাহে ৬ দিন সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর উন্মুক্ত থাকে। জাদুঘরে প্রবেশের জন্য স্থানীয়দের ২০/- টাকা এবং বিদেশীদের ২০০/-টাকা প্রবেশমূল্য দিতে হবে।
দুপুর ৩টা-বিকাল ৪টা-সোনারগাঁওয়ের কয়েকটি বিচ্ছিন্ন চর এলাকা | ঘুরে দেখতে আনুমানিক সময় লাগবেঃ ১ ঘণ্টা
মেঘনা নদীতে অবস্থিত নুনেরটেক অথবা গুচ্ছগ্রামে রয়েছে বেশকিছু বিচ্ছিন্ন চর যেখানে অত্যন্ত দরিদ্র মানুষ বসবাস করে। এখানে যেতে পারলে গ্রাম্য জীবনযাত্রা দেখে বিমোহিত হবেন। শুধুমাত্র নৌকায় করে মেঘনা নদী অতিক্রম করে এখানে পৌছানো যায়। সাধারণত এসব গ্রামের অধিবাসীরা গ্রামে কেউ বেড়াতে আসলে স্বাগত জানায়।