আলুটিলা পাহাড়ের গুহা (প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা) বাংলাদেশের একটি অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। ঘন সবুজ জঙ্গলে ঢাকা রহস্য ঘেরা এই অন্ধকার গুহাটি আলুটিলা পাহাড়ের প্রধান আকর্ষণ। আপনি সাহসী হয়ে থাকলে এই গুহাটির ভেতরে ঢুকতে পারেন। গুহাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং ঝুঁকিমুক্ত। গুহাটির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে প্রায় ১৫ মিনিট সময় লাগবে। গুহাটি অতিক্রমের সময় ঠাণ্ডা পানি আপনার পা স্পর্শ করবে। আলুটিলা পাহাড়ের উপর থেকে আপনি খাগড়াছড়ি শহরকে দেখতে পাবেন। এই স্থানটি একটি চমৎকার পিকনিক স্পটও বটে।
আলুটিলা পাহাড়ের গুহা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় অবস্থিত। খাগড়াছড়ি শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়ায় আপনি ব্যাক্তিগত গাড়ি, লোকাল বাস অথবা অটোরিকশায় করে আলুটিলা পাহাড়ের গুহায় আসতে পারবেন।
ঢাকা থেকে শ্যামলী , হানিফ ও অন্যান্য পরিবহনের বাসে খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন । ভাড়া নিবে ৫২০ টাকা । শান্তি পরিবহনের বাস দীঘিনালা যায় । ভাড়া ৫৮০ টাকা । এছাড়া BRTC ও সেন্টমার্টিন্স পরিবহনের এসি বাস খাগড়াছড়ি যায়। যোগাযোগঃ
১। সেন্টমার্টিন্স পরিবহন – আরামবাগঃ ০১৭৬২৬৯১৩৪১ , ০১৭৬২৬৯১৩৪০ । খাগড়াছড়িঃ ০১৭৬২৬৯১৩৫৮ ।
২। শ্যামলী পরিবহন – আরামবাগঃ ০২-৭১৯৪২৯১ । কল্যাণপুরঃ ৯০০৩৩৩১ , ৮০৩৪২৭৫ । আসাদগেটঃ ৮১২৪৮৮১ , ৯১২৪৫৪ । দামপাড়া (চট্টগ্রাম) ০১৭১১৩৭১৪০৫ , ০১৭১১৩৭৭২৪৯।
৩। শান্তি পরিবহন- ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির ভাড়া ৫২০ টাকা, দিঘিনালা ৫৮০ টাকা, পানছড়ি ৫৮০ টাকা, মেরুন ৬০০ টাকা, মাইনী ও মারিস্যা ৬৫০ টাকা। সায়দাবাদ থেকে সকাল ৮ টায় একটি গাড়ি খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাত ১০ টা থেকে ১১.১৫ পর্যন্ত চারটি গাড়ি যায়। রাত ১০ টার গাড়ি পানছড়ি যায়। রাত ১০.৪৫ এর গাড়ি মাইনী। রাত ১১.১৫ গাড়ি মারিস্যা যায়। সব গুলো গাড়িই সায়দাবাদের সময়ের ১ ঘন্টা আগে গাবতলী থেকে ছেড়ে আসে। সায়দাবাদ – ০১১৯১২১৩৪৩৮। আরামবাগ ( ঢাকা ) – ০১১৯০৯৯৪০০৭ । অক্সিজেন(চট্টগ্রাম) – ০১৮১৭৭১৫৫৫২ ।
চট্টগ্রাম থেকেও খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন । BRTC এসি বাস কদমতলী (চট্টগ্রাম): ০১৬৮২৩৮৫১২৫ । খাগড়াছড়িঃ ০১৫৫৭৪০২৫০৭ ।
১। পর্যটন মোটেলঃ এটি শহরে ঢুকতেই চেঙ্গী নদী পার হলেই পরবে। মোটেলের সব কক্ষই ২ বিছানার। ভাড়াঃ এসি ২১০০ টাকা, নন এসি ১৩০০ টাকা। মোটেলের অভ্যন্তরে মাটিতে বাংলাদেশের মানচিত্র বানানো আছে। যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২০৮৪৮৫।
২। গিরি থেবারঃ এটি খাগড়াছড়ি শহরের কাছে খাগড়াছড়ি ক্যন্টনমেন্টের ভিতরে অবস্থিত। এখানে সিভিল ব্যক্তিরাও থাকতে পারে। সব রুমই শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত। যার মধ্যে ২ টি ভি আই পি রুম, প্রতিটির ভাড়া ৩০৫০ টাকা। ডাবল রুম ভাড়া ২০৫০ টাকা। একটি সিংগেল রুম যার ভাড়া ১২০০ টাকা। যোগাযোগ : কর্পোরেল রায়হান- ০১৮৫৯০২৫৬৯৪।
৩। হোটেল ইকো ছড়ি ইনঃ খাগড়াপুর ক্যান্টর্মেন্ট এর পাশে পাহাড়ী পরিবেশে অবস্থিত। এটি রিসোর্ট টাইপের হোটেল। যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২৬২৫ , ৩৭৪৩২২৫।
৪। হোটেল শৈল সুবর্নঃ ০৩৭১-৬১৪৩৬ , ০১১৯০৭৭৬৮১২।
৫। হোটেল জেরিনঃ ০৩৭১-৬১০৭১।
৬। হোটেল লবিয়তঃ ০৩৭১-৬১২২০, ০১৫৫৬৫৭৫৭৪৬ , ০১১৯৯২৪৪৭৩০।
৭। হোটেল শিল্পীঃ ০৩৭১-৬১৭৯৫।
১। গুহার উপর থেকে খাগড়াছড়ি শহরকে পাখির চোখে দেখতে পারেন।
২। চারপাশের সবুজ বনানীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
৩। ছবি তুলতে পারেন।
খাগড়াছড়িতে খাওয়ার জন্য বেশকিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এখানে কম দামে খাওয়ার জন্য সেরা রেস্টুরেন্ট হল ‘সিস্টেম রেস্টুরেন্ট’। এই রেস্টুরেন্টে অবশ্যই বাঁশ ভাজার স্বাদ নিতে ভুলবেন না।
গুহায় প্রবেশের সময় আপনাকে সাথে করে অবশ্যই মশাল বহন করতে হবে। খাগড়াছড়িতে আপনি হেরিটেজ পার্ক, জেলা পরিষদ পার্ক, এবং বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার দেখতে পারেন। এসব স্থানে আপনি রিকশায় করেই যেতে পারবেন।
আপনার প্রশ্ন বা সমস্যার সহযোগিতা করায় আমরা সর্বদা তৎপর!