সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগরমুখী দক্ষিন সীমান্তে দুবলার চর অবস্থিত। এছাড়া এই স্থানটি কটকার দক্ষিন-পশ্চিমে এবং নীলকমলের দক্ষিন-পূর্বে অবস্থিত। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও মাছ ধরা এবং শুটকি মাছ প্রক্রিয়াজাতকরনের জন্য দুবলার চরের খ্যাতি রয়েছে। এছাড়া প্রায় ২০০ বছর ধরে পালিত হয়ে আসা রাশমেলা এবং পুণ্যস্নানের জন্যও এই চরের রয়েছে বিশেষ পরিচিতি। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন রাশ উৎসবে রাধা এবং দেবতা কৃষ্ণর পুনর্মিলন হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর হিন্দু ধর্মের অবলম্বনকারীরা এই সমাবেশ উৎযাপনের জন্য এসে থাকেন। প্রতিবছর তিনদিনব্যাপী পালিত হওয়া এই ধর্মীয় আয়োজনটি দেশী বিদেশী পর্যটকদের কাছেও বেশ আকর্ষণীয় একটি ঘটনা।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের নামকরা অন্যান্য স্থানের চাইতে এই চরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কোন অংশে কম নয়। দুবলার চরের পশ্চিমে পশুর নদী এবং পশ্চিমে শিবসা নদী বয়ে গিয়েছে।
বাগেরহাটে পৌঁছে বাস অথবা সিএনজি অটোরিকশায় করে আপনি দুবলার চরে পৌছাতে পারবেন।
ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে করে বাগেরহাটে পৌছাতে পারবেন। ঢাকা থেকে বাগেরহাটে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে রয়েছঃ
১। মেঘনা পরিবহন
সায়েদাবাদ টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১৭১৭৩৮৮৫৫৩
ভাড়াঃ ৩৫০/-টাকা
২। শাকুরা পরিবহন
গাবতলি টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১১০১০৪৫০
ভাড়াঃ প্রায় ৫০০/-টাকা
৩। পর্যটক পরিবহন
সায়েদাবাদ টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১১১৩১০৭৮
ভাড়াঃ প্রায় ৩৫০/-টাকা
৪। সোহাগ পরিবহন
গাবতলি টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১৮৬৭৯৩০২
ভাড়াঃ ৩৮০/- টাকা
প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা মধ্যে তিনটি লঞ্চ এবং একটি স্টিমার ঢাকার সদরঘাট থেকে পিরোজপুরের হুলারহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। হুলারহাটে পৌঁছে আপনাকে বাসে করে অথবা ভাড়া গাড়িতে করে সড়কপথে পিরোজপুর হয়ে বাগেরহাটে পৌছাতে হবে।
ঢাকার সদরঘাট থেকে পিরোজপুরের হুলারহাটের উদ্দেশ্যে চলাচলকারী লঞ্চগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
• আল-খালাদি
• পার্বত
• ফারহানা
• টিপু
ছাড়ার সময়ঃ বিকাল ৫টা
পৌছানোর সময়ঃ সকাল ৯টা
ভাড়াঃ
রেগুলারঃ ১৮০/-টাকা
সিঙ্গেল কেবিনঃ ৫০০/-টাকা
ডবল কেবিনঃ ৮০০/-টাকা
বর্তমানে রাজধানী ঢাকার সাথে বাগেরহাটের আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। তবে, বাগেরহাটে একটি বিমানবন্দর নির্মাণাধীন রয়েছে। সুতরাং, অদুর ভবিষ্যতেই ঢাকা ও বাগেরহাটের মধ্যে আকাশপথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়।
বাগেরহাটে থাকার জন্য খুব বেশি হোটেল নেই। তবে এখানে রেল রোডে অবস্থিত মমতাজ হোটেলে থাকতে পারেন। এই হোটেলটিতে সুযোগ সুবিধা কম থাকলেও সেবার মান মোটামোটি ভাল এবং খরচও একটু বেশি। এছাড়া এই হোটেলের আশেপাশে থাকার জন্য আরো কিছু হোটেল রয়েছে।
1. দুবলার চরে মাছের শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরন প্রত্যক্ষ করতে পারেন।
2. এখানে মাছ ধরা উপভোগ করতে পারেন।
3. দুবলার চরে চিত্রা হরিণের দলকে ঘাস খেতে দেখেও ফেলতে পারেন।
4. এছাড়া দুবলার চরে হাঁটলে আপনি নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণীর দেখা পেতে পারেন। এছাড়া চরের চারপাশে পানি থাকায় এখানে নানা প্রজাতির মাছ ও জলজ উদ্ভিদের দেখা পাবেন।
5. রাশমেলার সময় এসে মেলা এবং পুণ্যস্নান প্রত্যক্ষ করতে পারেন।
বাগেরহাটে কোথায় খাবেন জানতে এখানে ক্লিক করুন
0
আপনার প্রশ্ন বা সমস্যার সহযোগিতা করায় আমরা সর্বদা তৎপর!