বাংলাদেশ সরকার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের স্মৃতি রক্ষার্থে তাঁর নিজের পৈত্রিক বাড়ি ভোলা জেলার আলীনগর ইউনিয়নের মৌটুপি মৌজায় এই জাদুঘরটি স্থাপন করেন। এই জাদুঘরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাশাপাশি রয়েছে লাইব্রেরি এবং মিলনায়তন।
মোস্তফা কামালের জন্ম ১৯৪৭ সালে ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর গ্রামে। তাঁর বাবা ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন হাবিলদার। মোস্তফা কামালের শৈশবের বেশিরভাগই কেটেছিল তাঁর বাবার সাথে কুমিল্লা সেনানিবাসে। মাত্র ২য় শ্রেণী পর্যন্ত পড়তে পেরেছিলেন তিনি। ১৯৬৭ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাসা থেকে পালিয়ে তিনি যোগ দেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। বক্সার হিসেবে সুখ্যাতি ছিল মোস্তফা কামালের। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝি তাঁকে কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদর দফতরে বদলি করা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়ন্ত্রন নিয়ে আশুগঞ্জ, উজানিশ্বর এবং অ্যান্ডারসন লেকে তিনটি প্রতিরক্ষা ঘাঁটি স্থাপন করে। কিন্তু এই ঘাঁটিগুলোর ওপর পাক বাহিনীর অবিরাম কামানের গোলাবর্ষণের ফলে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট তাঁদের ঘাঁটি স্থানান্তর করতে বাধ্য হয় আখাউরা, সঙ্গীনগর এবং দরুইনে। দরুইনে সৈন্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ২য় প্লাটুন কে পাঠানো হয় যেটিতে ছিলেন মোস্তফা কামাল। মেজর শাফায়াত জামিল মোস্তফা কামালকে ল্যান্স নায়েক পদে মৌখিক ভাবে পদোন্নতি দিয়ে একটি সেনাদলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেন। ১৯৭১ সালের ১৮ই এপ্রিল মোস্তফা কামাল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে এক যুদ্ধে শহীদ হন। তাঁকে দরুইনে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে অসম সাহসিকতার জন্য তাঁকে মরণোত্তর বাংলাদেশের সর্বচ্চ সামরিক খেতাব “বীরশ্রেষ্ঠ” তে ভূষিত করা হয়। তাঁর সম্মানার্থে একটি ডাকটিকেটও প্রকাশ করা হয়।
ঢাকা থেকে বরিশালে আপনি সড়কপথে, নদীপথে অথবা আকাশপথে পৌছাতে পারবেন। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এবং রিজেণ্ট এয়ারওয়েজ ঢাকা এবং চট্রগ্রাম থেকে বরিশালে ফ্লাইট পরিচালনা করে। অক্টোবর থেকে এপ্রিলে প্রতিদিন ফ্লাইট থাকলেও মে থেকে সেপ্টেম্বরে অর্থাৎ গ্রীষ্ম এবং বর্ষায় সপ্তাহে ৩ থেকে ৪টি ফ্লাইট আসা যাওয়া করে। বরিশাল থেকে আপনাকে ভোলার পৌছাতে হবে।
ভোলা শহর থেকে আপনি সহজেই বাস অথবা সিএনজি অটোরিকশাযোগে আলীনগর ইউনিয়নের মৌটুপি মৌজায় বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্মৃতি জাদুঘরে পৌছাতে পারবেন।।
Mainly connected by vessels with Dhaka.
There are bus services available at Dhaka Gabtoli and Sayedabad counters to go to Bhola. There are two routes by road. You can whether go to Bhola crossing Barisal or by passing Lakshmipur.
From Dhaka to Bhola, it is a distance of 195 km if you travel by water. Some of the launch services available are as follows:
1. MV Bhola, Contact: 049161236
2. Sringor, Contact: 049162523
3. Balia, Contact: 01711905471
4. Kornofuli, Contact: 049151354
These launches start from Sadarghat, Dhaka at 7:30 pm or 8:00 pm at night and is expected to reach the destination at 6 am or 6:30 am in the next morning.
Fare: First class: Tk 900, Third class: Tk 202
There are lots of places to stay in the district. For the guests of Bhola, there is one circuit house in Bhola Sadar, and in the other six sub-districts, there are six bungalows under the control of sub-district council. Moreover, there are many other hotels and motels privately owned. Some of them have been listed below for your assistance.
1. Hotel Ahsan, Contact: 01191426322
2. Hotel Jahan, Contact: 01716879975
3. Hotel Shish Mahal, Contact: 10718335311
4. Hotel Prince, Contact: 01712762358
5. Hotel Golden Plaza, Contact: 01726667218
6. Hotel Paradise, Contact: 01716083181
১। জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারেন।
২। জাদুঘরের সংগ্রহ দেখতে পারেন এবং লাইব্রেরিতে বই পড়তে পারেন।
৩। জাদুঘর ও আশেপাশের ছবি তুলতে পারেন।
মহাসড়কের পাশে এবং স্থানীয় বাজারে কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে আপনি দেশীয় খাবার পাবেন। তবে, খাবারের মান সম্পর্কে কোনরকম উচ্চাশা না রাখাই শ্রেয়।
Questions, issues or concerns? I'd love to help you!