বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধিসৌধ

Type: সমাধিক্ষেত্র
Contributed By: Nayeem
Facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmail

Brief

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হলেন একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সবার কাছে শহীদ ইঞ্জিন রুম আরটিফিসার (বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি পদের নাম) মোহাম্মদ রুহুল আমিন নামেই পরিচিত। সাহসীকতার স্বীকৃতস্বরূপ বাংলাদেশের সর্বচ্চ সামরিক খেতাব হল ‘বীরশ্রেষ্ঠ’। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুলক্রমে বোমা বর্ষণ করলে রুহুল আমিন শহীদ হন। ভারতীয় বিমানবাহিনীর ভুল বোমা বর্ষণের ফলে তিনি রাজাকারদের হাতে ধরা পড়েন এবং পরবর্তীতে রাজাকাররা তাঁকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।

১৯৩৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি মোহাম্মাদ রুহুল আমিন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুরি উপজেলার বাগপাঁচড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বাবার নাম ছিল মোহাম্মাদ আজহার পাটোয়ারি এবং মায়ের নাম ছিল জুলেখা খাতুন। পরিবারের সবচেয়ে বড় সন্তান রুহুল আমিন ছোটবেলা থেকেই ছিলেন অত্যন্ত অনুগত, সাহসী, কর্তব্যপরায়ণ এবং সৎ। শিক্ষা ও জ্ঞান লাভের প্রতি তাঁর ছিল তীব্র আকাঙ্ক্ষা। তাঁর কৌতূহলী মনোভাবের কারনে তিনি সংবাদপত্রের চাকরি বেশিদিন করতে পারেননি। স্থানীয় স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর মোহাম্মদ রুহুল আমিন ১৯৪৯ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

মোহাম্মদ রুহুল আমিন ১৯৫১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে একজন নাবিক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি করাচীর কারসাজ নৌঘাঁটিতে প্রারম্ভিক এবং কারিগরি প্রশিক্ষন গ্রহন করেন। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন গ্রহনের পর ১৯৬৫ সালে রুহুল আমিন আরটিফিসার-১ নামক পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং ১৯৬৮ সালে তাঁকে চট্টগ্রামে পাকিস্তান নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ পিএনএস বখতিয়ারে পাঠানো হয় যেখানে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধ আরম্ভ হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধ আরম্ভ হলে মোহাম্মদ রুহুল আমিন চট্টগ্রামের বখতিয়ার নৌ ঘাঁটির অধীনে কুমিল্লায় অবস্থিত গানবোট পিএনএস কুমিল্লাতে ইঞ্জিন রুম আরটিফিসার-১ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২৫শে মার্চের কালরাতের পর তিনি তাঁর কর্মস্থল ত্যাগ করে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। সেখানে তিনি তাঁর গ্রামের ছাত্র এবং যুবকদের যুদ্ধে পাঠানোর জন্য একত্রিত করেন। মে মাসে প্রায় ৫০০ জন প্রশিক্ষিত সৈনিকের সাথে রুহুল আমিন সেক্টর কমান্ডার ও ‘এস’ ফোরসের প্রধান মেজর শফিউল্লাহর (পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান) অধীনে আগরতলার সেক্টর-৩ এ যোগ দেন।

১৯৭১ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ‘পদ্মা’ এবং ‘পলাশ’ নামে দুটি যুদ্ধজাহাজ যোগদান করে। সেসময় কোন বাঙালি নৌবাহিনীর কর্মকর্তা না থাকায় ভারতীয় নৌবাহিনীর দুজন কর্মকর্তা এই দুটি জাহাজের দায়িত্বভার গ্রহন করেন। একজন নাবিক হিসেবে মোহাম্মদ রুহুল আমিন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগদান করেন এবং তাঁকে পলাশ নামক জাহাজে পাঠানো হয়।

১৯৭১ সালের ১০ই ডিসেম্বর মংলা বন্দরে পৌছায় পদ্মা ও পলাশ। এসময় এ দুটি জাহাজের মিশন ছিল মংলা বন্দরে পাকিস্তানী স্কোয়াডকে দখল করা। সেদিনের শুরুতে ভারতীয় বিমানবাহিনী খুলনা শহরের বিভিন্ন স্থানে বোমা বর্ষণ করে। মংলা বন্দরের কাছে পদ্মা ও পলাশ জাহাজ দুটো পৌছালে ৪টি ভারতীয় বিমান জাহাজ দুটোর উপর দিয়ে উড়ে যায়। তবে, একটু পরেই ভারতীয় বিমানগুলো আবারো ফিরে আসে এবং প্রথমে পদ্মা এবং তারপর পলাশের উপর বোমাবর্ষণ করে এবং ফলশ্রুতিতে জাহাজদুটোতে আগুন ধরে যায়।

পলাশের অস্ত্রাগারে আগুন ধরে যায় এবং এতে করে জাহাজটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। এই অবস্থায় পলাশের বেশীরভাগ নাবিক জাহাজটি পরিত্যাগ করলেও রুহুল আমিন জাহাজটি ছেড়ে যাননি। তিনি অন্যান্য নাবিকদের উদ্দেশ্যে বলেন “এই জাহাজটিকে ভাসমান রাখতে না পারলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে বাঁচানো যাবে না এবং সদ্য জন্মগ্রহনকারী এই নৌবাহিনী চিরতরে মৃত্যুবরন করবে”। এসময় অন্যান্য নাবিকরা রুহুল আমিনকে জাহাজ ত্যাগ করার অনুরোধ করলেও তিনি জাহাজের আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু ভারি বোমাবর্ষণের ফলে পলাশের ইঞ্জিন রুমে আগুন ধরে যায় এবং জাহাজটি নদীতে ডুবে গেলে রুহুল আমিন মারাত্মক আহত অবস্থায় নদীতে ঝাঁপ দেন কিন্তু সাঁতরে নদীর তীরে পৌছানোর পর রুহুল আমিনকে রাজাকারেরা ধরে ফেলে এবং বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ১০ই ডিসেম্বর খুলনায় শহীদ হন মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর মুক্তিযুদ্ধে সর্বচ্চ আত্মত্যাগের কারনে মোহাম্মদ রুহুল আমিনকে সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ তে ভূষিত করা হয়।


How to go

ঢাকা থেকে প্রতিদিন বেশকিছু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং সাধারণ বাস সরাসরি খুলনার পথে চলাচল করে। এসব বাসের মধ্যে রয়েছেঃ সোহাগ পরিবহন, ঈগল ট্রান্সপোর্ট, এ কে ট্র্যাভেলস, হানিফ পরিবহন ইত্যাদি। প্রায় ৫০০/- টাকা ভাড়ায় এসব বাসে করে প্রায় ৭ ঘণ্টায় খুলনায় পৌছাতে পারবেন। এছাড়া যশোর থেকেও বাসে করে প্রায় ৫০/- টাকা ভাড়ায় এক ঘণ্টায় খুলনায় যেতে পারবেন।

How To Reach: খুলনা জেলা

Khulna District is connected by road, river and water.

Khulna district can be reached travelling by road from Dhaka. There are several bus services available from Dhaka to Khulna. Some of them are listed below for your assistance:

1. Hanif Enterprise:
Gabtoli Terminal, Phone: 8015366, 8011750, 9003380
From Jhenaidah: 041-810451 (Hotel Royal Circle)
041-810452 (Shivbari Mor)
041-810453 (Sonadanga)

2. Green Line (AC bus):
Fakirapool Counter, Phone-9356506
Sayedabad Counter, Phone-7552739
Kalabagan Counter, Phone-9112287

3. Eagle Paribahan:
Gabtoli Counter, Phone-8017698, 8017320, 04494413673

Dhaka is linked to Khulna by water. There are few Rockets driving between Dhaka and Khulna. They operate on Mondays, Tuesdays, Thursdays and Fridays.

Phone: 041-725753
Deck Fare: TK 180
First class cabin (2 seats) fare: TK 2380
First class cabin (1 seat) Fare: TK 1190
Second class cabin (2 seats): TK 1880
Second class cabin (1 seat): TK 720

Dhaka and Khulna is also linked by railway. Some of the train services available from Dhaka to Khulna are listed below.

1. Sundarban Express: Operates every day except Fridays.
Fare ranges from TK 200 to TK 1058

2. Chitra Express: Operates every day except Mondays.
Fare ranges from TK 235 to TK 720

Where to Stay

Some of the places to stay in Khulna are listed below for your assistance:

1. CSS Rest House
Contact: 041722355

2. Hotel Castle Salam
Contact: 041730725

3. Hotel Royal International
Contact: 041813067-9

4. Platinum Jute Mills Ltd Rest House
Contact: 041762335

Things to do

খুলনার প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত হাদিস পার্কে এসে কিছু সময় কাটাতে পারেন। ভাগ্য ভাল হলে পার্কে কোন প্রদর্শনী দেখার সুযোগ পেয়েও যেতে পারেন।

Eating Facilities

খুলনায় খাওয়ার ব্যবস্থাও বেশ উন্নত। এখানে আপনি আপনার পছন্দমত হোটেল ও রেস্টুরেন্টে নানা পদের সুস্বাদু খাবার খেতে পারবেন। এছাড়া খুলনার আবাসিক হোটেলগুলোতে নিজস্ব রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

Travel Tips

১। খুলনায় আসলে শহরের উত্তরে খান ই সবুর রোডে অবস্থিত নিউ মার্কেটে আসতে পারেন। খুব জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও দোতলা এই মার্কেটে বিভিন্ন জিনিস কিনতে পারবেন যেমনঃ কাপড়, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, মোবাইল ফোন, সিডি, ভিসিডি ইত্যাদি।

২। খুলনা লাসসি এবং ফালুদা বেশ জনপ্রিয়। এসব পানীয়ের স্বাদ নিতে ডাকবাংলোর মোড় এবং পিকচার প্যালেস মোড়ে অবস্থিত ডিলাক্স অথবা সৌরভ রেস্টুরেন্টে আসতে পারেন।

Map

Talk to Us

We're not around right now. But you can send us an email and we'll get back to you, asap.

Questions, issues or concerns? I'd love to help you!

Click ENTER to chat