টেঙ্গা ঈশ্বরীপুর মসজিদ

Type: মসজিদ / ঈদগাহ
Contributed By: Nayeem
Facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmail

Brief

টেঙ্গা ঈশ্বরীপুর মসজিদ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার টেঙ্গায় অবস্থিত। ইট দিয়ে নির্মিত এই মসজিদটি একসময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যবহারের উপযোগী ছিল না। তবে, পরবর্তীতে মসজিদটিকে মেরামত করে কিছুটা আধুনিক করা হয়েছে।
টেঙ্গা ঈশ্বরীপুর মসজিদের দৈর্ঘ্য হল ৪১.১৫ মিটার, প্রস্থ ১০.৬৭ মিটার এবং দেয়ালের পুরুত্ব ২.১৩ মিটার। মসজিদের পূর্বদিকের দেয়ালে পাঁচটি গম্বুজ আকারের ফটক রয়েছে এবং উত্তর ও দক্ষিনদিকের দেয়ালে একটি করে ফটক রয়েছে।

টেঙ্গা ঈশ্বরীপুর মসজিদের পশ্চিম দিকের দেয়ালে পূর্বদিকের ফটকগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে পাঁচটি অর্ধ গোলাকার মিহরাব নির্মাণ করা হয়েছে যেগুলোর মধ্যে মাঝখানের মিহরাব এবং ফটকটি অন্যান্য মিহরাব ও ফটকের চেয়ে আকারে বড় এবং বাইরের দিকে হেলানো। মসজিদের মূল ভবনের চারকোণায় চারটি বিশালাকার অষ্টভুজ টাওয়ার থাকলেও সেগুলো বর্তমানে অবশিষ্ট নেই। মুঘল স্থাপত্যশৈলী অনুসারে মসজিদ ভবনের কার্নিশগুলো সমান্তরাল।

টেঙ্গা ঈশ্বরীপুর মসজিদের অভ্যন্তরকে পাঁচটি পৃথক বর্গাক্ষেত্রাকার ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেগুলোর মধ্যে মাঝের ভাগটি (যেটির প্রতি বাহুর মাপ ৬.৪০ মিটার) অন্যান্য ভাগের (যেগুলোর প্রতি বাহুর মাপ ৫.৭০ মিটার) চেয়ে বড়। মসজিদের প্রতিটি ভাগকে উত্তর এবং দক্ষিন দিকের দেয়ালের মাঝখানে অবস্থিত ধনুকাকার ফটকের সাথে সামঞ্জস্য রেখে উত্তরদিক থেকে দক্ষিনদিকমুখী ধনুকাকারের ফটকের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই মসজিদের ছাদে প্রতিটি ভাগ বরাবর মোট পাঁচটি গম্বুজ রয়েছে এবং চারটি দেয়ালের মাঝে ধনুকের নকশা রয়েছে। শিলালিপি না থাকায় এই মসজিদের নির্মাণকাল নিয়ে দুই ধরনের মতামত রয়েছে। একটি মত অনুসারে রাজা প্রতাপাদিত্ত্য তাঁর মুসলিম অনুসারীদের জন্য এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। অপর একটি মত অনুসারে আকবরের সেনাপতি মানসিংহ মসজিদটি নির্মাণ করেন। তবে, পরবর্তী মতটি গ্রহণযোগ্য নয় কারন সম্রাট আকবরের শাসনামলে (১৫৫৬-১৬০৫) যশোর-খুলনা অঞ্চল মুঘল শাসনের আওতার বাইরে ছিল। তবে, এমনও হতে পারে ১৬১২ সালে সুবেদার ইসলাম খানের হাতে রাজা প্রতাপাদিত্ত্যর চূড়ান্ত পরাজয়ের পর কিছু মুঘল কর্মকর্তা টেঙ্গা ঈশ্বরীপুর মসজিদটি নির্মাণ করেন।

নির্মাণ পরিকল্পনার জন্য এই মসজিদটি বিশেষভাবে প্রশংসিত হওয়ার দাবি রাখে। একই রেখায় পাঁচটি গম্বুজ থাকায় এই মসজিদটিকে বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যর সবচেয়ে প্রাচীন স্থাপত্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। নির্মাণ পরিকল্পনা দেখে মনে হয় মসজিদটিকে বাংলায় সেসময় অবস্থিত তিনগম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ থেকে রুপান্তর করা হয়েছিল অথবা এই মসজিদটি সেসময়কার বিভিন্ন পাঁচগম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের (যেমনঃ ১৪৯৪ সালে নির্মিত বড় গম্বুজ মসজিদ, পাটনার চান্নিঘাট মসজিদ) অনুকরণে নির্মাণ করা হয়েছিল।


How to go

ঢাকার কল্যাণপুর অথবা গাবতলি থেকে বাসে করে সরাসরি পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় পৌছাতে পারবেন। মহাসড়কের অবস্থা ভাল হওয়ায় আপনাকে যাত্রাপথে কোন কষ্ট করতে হবে না। সাতক্ষীরায় আপনি রিকশা অথবা ভ্যানে করে অল্প খরচে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারবেন। তবে, সবকিছু ভালভাবে দেখার জন্য যতদূর সম্ভব পায়ে হেঁটে চলাই ভাল।

How To Reach: সাতক্ষীরা জেলা

The only route to go to Satkhira from Dhaka is by road. You can take a bus to go to Satkhira, crossing river by ferry. Some of the bus services available are listed below for your assistance:

1. Eagle Paribahan
Gabtoli Counter, Phone-8017698, 8017320

2. Hanif Enterprise
Gabtoli Counter, Phone-8011759

3. AK Travels
Gabtoli, Contact: 02-8032916, 01191-620621
Tk. 550 (Non-AC)
Tk. 1000 (AC)

Where to Stay

There are not many hotels in Satkhira and the few available places may not meet your standards. Accommodation facilities in Satkhira still need to improve. Our pick among the hotels in Satkhira is:
1. Mozaffar Garden & Resort, Satkhira
Phone: 01712104439, +8801719769009, +8801191812257

2. Borsha Resort
Manager: AKM Anisur Rahman
Address: Kolabari, 9 no. Burigoalini, Shamnagar, Satkhira.
Phone: 01715251963

3. Vai Vai Hotel
Manager/Owner: Babu Ram Mojumdar
Address: Ashasuni, Khajra Bazar.
Phone: 01913424633

4. Halima Hotel
Manager/Owner: Ms. Halima Begum
Address: Ashasuni, Khajra Bazar.
Phone: 01790227919

5. Sundarban Hotel
Manager/Owner: Mr. Dr. Shahjahan
Address: Nokipur Bus Stand, Shamnagar, Satkhira
Phone: 01710126624

Things to do

1. মসজিদের স্থাপত্যশৈলী প্রত্যক্ষ করতে পারেন।
2. মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেন।

Eating Facilities

আপনি সাথে করে খাবার নিয়ে যেতে পারেন অথবা আশেপাশে খাওয়ার হোটেল অথবা রেস্টুরেন্টের খোঁজ করতে পারেন। সাতক্ষীরায় আপনি খাঁটি উপকরনে প্রস্তুতকরা নানা পদের খাবার খেতে পারবেন। তাই ভোজন রসিক হয়ে থাকলে সাতক্ষীরা আপনার জন্য যথার্থ স্থান। তবে, ভোজন রসিক না হলেও এখানে কিছুদিন অবস্থান করলে আপনি এমনিতেই ভোজন রসিক হয়ে যাবেন।

Map

Talk to Us

We're not around right now. But you can send us an email and we'll get back to you, asap.

Questions, issues or concerns? I'd love to help you!

Click ENTER to chat