বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ অপরূপ সুন্দর সেন্ট মার্টিন’স এ আপনি জীবন্ত প্রবাল দেখতে পাবেন। টেকনাফ থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপটিতে আপনি স্থানীয় মোটর বোট, টুরিস্ট বোট অথবা সি ট্রাকে করে যেতে পারবেন।
কথায় আছে যে সাত শতকের প্রথম ভাগে প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যে এখানে দারুচিনি বোঝাই আরবের একটি বাণিজ্যিক জাহাজ পানির নীচে থাকা একটি বিশাল পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ভেঙ্গে পড়ে। এতে করে জাহাজে থাকা দারুচিনি এই দ্বীপের সবখানে ছড়িয়ে যায় এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেন্ট মারটিন’স দ্বীপের নাম হয়ে যায় ‘দারুচিনির দ্বীপ’। তবে একসময় এই দ্বীপে নারিকেলের ঘন বাগান থাকায় স্থানীয়রা সেন্ট মারটিন’স দ্বীপকে নারিকেল জিঞ্জিরা (যার অর্থ নারিকেলের দ্বীপ) নামেও বলে থাকতো। বিগত শতকের প্রথমভাগে ক্যাডাসট্রাল জরিপ চলাকালে জরিপকারি কতৃপক্ষ সম্ভবত একজন ব্রিটিশ সাধকের নামানুসারে এই প্রবাল দ্বীপটির নামকরণ করে সেন্ট মারটিন’স দ্বীপ।
পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন তিন হাজারের অধিক পর্যটক প্রতিদিন সকালে সেন্ট মারটিন’স দ্বীপে আসেন প্রবাল দ্বারা পরিবেষ্টিত পরিষ্কার নীল পানি সমেত সৈকতের সৌন্দর্য একান্তে উপভোগ করতে এবং তারা বিকাল ৩টার মধ্যে এই দ্বীপটি ত্যাগ করেন। নজরকাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং প্রকৃত সামুদ্রিক আবহের মধ্যে রাতের অন্ধকারের (এখানে বৈদ্যুতিক বাতি নেই) সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে অনেক পর্যটক এখানে রাত্রিযাপনও করে থাকেন। বীচ চেয়ারে শরীরটাকে এলিয়ে দিয়ে মায়াবী চাঁদ অথবা লক্ষ্ লক্ষ তারা খচিত রাতের আকাশ দর্শন করা এবং সেই সাথে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জনকে উপভোগ করার পাশাপাশি সৃষ্টির রহস্য নিয়ে চিন্তা করার অনন্য অভিজ্ঞতা কোন ভাবেই বর্ণনীয় নয় তবে এই অভিজ্ঞতা এখানে না আসলে আপনি কখনোই অর্জন করতে পারবেন না।
টেকনাফ থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং আরামদায়ক জাহাজ কিয়েরি সিন্দবাদে করে দুই ঘণ্টা অথবা তার চাইতে কম সময়ে সেন্ট মারটিন’স দ্বীপে পৌছাতে পারবেন। কিয়েরি সিন্দবাদে যাওয়ার সময় আপনি নাফ নদীর একদিকে টেকনাফের পাহাড় এবং অপরদিকে মায়ানমারের চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
কিয়েরি সিন্দবাদ বিকাল ৩টার দিকে সেন্ট মারটিন’স দ্বীপ থেকে ছেড়ে যায়। আপনি কিয়েরি সিন্দবাদে যাওয়া আসাসহ উভয় পথের টিকেট কিনতে পারবেন। আপনি ওইদিনই ফিরে আসতে পারেন অথবা দুই একদিন পরও ফিরতে পারবেন। আপনি যখনই ফিরুন না কেন টিকেটের দাম একই পড়বে।
Dhaka and Cox’s Bazar are linked by road. You can take a bus from Dhaka to reach Cox’s Bazar. Some of the bus services are listed below for your assistance:
1. Green Line
Contact: 0341-62533
2. Hanif Enterprise
Contact: 0341-64170
3. Shamoli Paribahan
Contact: 0443449934
4. Shohag Paribahan
Contact: 0341-64361
5. S Alam Paribahan
Contact: 0341-62902
6. Shah Bahadur
Contact: 01678064880
7. Saint Martins
Contact: 01726520095
Dhaka and Cox’s Bazar are linked by air. Some of the airline services from Dhaka to Cox’s Bazar are listed below for your help.
1. United Bangladesh Airways
Contact: Phone: 09606445566, Ext: 542-48
Plane ticket fare starts from BDT 5925
2. Novo Air
Contact: 09666722224, 029871891-2
Plane Ticket fare starts from BDT 6600
3. Regent Airways
Plane ticket fare starts from BDT 5800
Contact: 028953003 or 16238
The accommodation facilities in Cox’s Bazar are remarkable. There are several great hotels in the region. Some of the hotels/motels in Rangamati are listed below for your assistance.
1. Hotel Seagull
Hotel Motel Zone
Cox’s Bazar Sea Beach,Cox’s Bazar
Tel: +88 0341 62480 – 90
Cell: +88 01766666530, +88 0176666653
2. Hotel Sea Palace
Kalatoli Road, Cox’s Bazar
Phone: 880-341-63692, 63792, 63794, 63826, and 63853
Mobile: 01714652227-8, 01979405051-2
3. Saint Martin Resort
Plot # ten, Block- a, Kalatoli Road, Cox’s Bazar
Phone: +88-0341-62862, 64275
4. Hotel Sayeman
Hotel Sayeman Road, Cox’s Bazar
Cell: +88-01711-022088
Phone: +88-0341-63900 -4, 63703 -7
5. Hotel Sea Crown
Marin Drive, Kola Toil New Beach
Telephone: 0341-64795, 0341-64474
Mobile: 01817 089420
দ্বীপের পূর্ব অংশে সূর্যোদয় দেখে সারাদিন কাটানোর পর দ্বীপের পশ্চিম অংশে সূর্যাস্ত দেখতে পারবেন। সূর্যাস্ত দেখার স্থানটি মূলত পাথরি এলাকা যেটি দ্বীপের উত্তর পশ্চিমে সেন্ট মারটিন’স রিসোর্টের কাছেই অবস্থিত। এই স্থানটি শুধুমাত্র ভাটার সময় দেখা যায়। ভাটা এবং সূর্যাস্ত একই সময় হলে এই স্থানটি একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়।
এখানকার গ্রামের জীবন অনেকটাই ধীরগতিসম্পন্ন। সকালে ও সন্ধ্যায় এখানকার মানুষ কর্মমুখর থাকলেও দুপুরবেলা এখানকার মানুষেরা মূলত শুটকি মাছ ও নারিকেল বিক্রি করে অথবা ছায়ায় বসে পান চিবিয়ে সময় কাটায়।
দ্বীপের পশ্চিম অংশে সীমানা পেরিয়ে রিসোর্টের দক্ষিণে একটি কচ্ছপের হ্যাচারি রয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত না হলেও এটির দরজা খোলাই থাকে এবং এখানে খুব একটা ভিড় পরিলক্ষিত হয় না। ডিম পাড়ার মৌসুম হলে এখানকার বাঁশের খাঁচায় বালুর মধ্যে ডিম দেখতে পাবেন। এই হ্যাচারিতে দেখার বেশিকিছু না থাকলেও কচ্ছপদের প্রজনন করার চেষ্টা দেখতে পেরে ভালো লাগবে আপনার। সাগরের কচ্ছপ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় এসটিইউআরসিএনইটি (সি টারটেল কনজারভেশন নেটওয়ার্ক) এই হ্যাচারিটি পরিচালনা করছে।
আকাশে চাঁদ না থাকলেও এই দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় আপনি আকাশে তারাদের উপভোগ করতে পারবেন।
দ্বীপের শেষ প্রান্তে ধাকিনমাথায় অবস্থিত পাথরের সৈকত থেকে ঘুরে আসতে পারেন। সেন্ট মারটিন’স দ্বীপের সর্বদক্ষিনে অবস্থিত পাথরগুলো লক্ষ লক্ষ বছর পূর্বে প্রবাল থেকে সৃষ্টি হয়েছে। রকবীচ নামে জনপ্রিয় এই স্থানটিতে আপনি পায়ে হেঁটে আসতে পারবেন। স্থানীয় ভুমির মালিকদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এখানে ১০ মিনিট থেকে ১৫ মিনিট হেঁটে নানা ধরনের প্রাণীদের দেখতে পারবেন। এসব প্রাণীদের মধ্যে রয়েছেঃ টিকটিকি, অতিথি পাখি, মিঠা পানির কচ্ছপ ইত্যাদি।
মূল ভূখণ্ডের চাইতে এখানে খাবারের দাম একটু বেশি পড়বে।
জেটিমুখী রাস্তার পাশে অবস্থিত খাবারের দোকানগুলোতে খাবারের দাম মোটামোটি একই রকমঃ
নাশতার জন্যঃ পরটা (৮/-টাকা), ডিম অমলেট (২০/- টাকা), সবজির তরকারি (২০/- টাকা) এবং রাতের ও দুপুরের খাওয়ার জন্যঃ ভাত, ডাল, মাছ ও সবজি ১৩০/- টাকা। এছাড়া চায়ের দাম প্রতি কাপ ৮/- টাকা।
সেন্ট মারটিন’স দ্বীপের আবাসিক হোটেলগুলোতে নিজস্ব রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে দেশী খাবার খেতে পারবেন। এসব রেস্টুরেন্টে খাবারের মান যেমন ভালো তেমনি দামও পথের পাশের হোটেলের চেয়ে একটু বেশি। এখানে মুরগি সবসময় পাওয়া যায় না আর গেলেও সেটি খেতে বেশি মজা পাবেন না। তবে, গলদা চিংড়ি ও কাঁকড়া এখানে কখনো কখনো চড়া দামে খেতে পারবেন। এখানকার ব্লু মেরিন রিসোর্টের রেস্টুরেন্ট এবং সেন্ট মারটিন’স রিসোর্টের আপ্যায়ন রেস্টুরেন্টকে এই দ্বীপের সেরা খাবার হোটেল বললে ভুল হবে না।
তবে, এখানকার ‘নারিকেল জিঞ্জিরা রেস্টুরেন্ট’ কে বলা চলে সেরাদের সেরা। আমরা সবসময় শুনে এসেছি চমৎকার দৃশ্যসহ থাকার কক্ষের কথা কিন্তু নারিকেল জিঞ্জিরা রেস্টুরেন্টে আপনি খেতে খেতে চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
জেটির ঠিক সামনেই এই রেস্টুরেন্টটি অবস্থিত। জেটি থেকে আসতে আপনার হাতের ডানদিকে পড়বে এই রেস্টুরেন্টটি। সামুদ্রিক খাবার ছাড়াও বাংলা, ইন্ডিয়ান এবং চাইনিজ খাবার পরিবেশনে এই রেস্টুরেন্টটি বেশ দক্ষ। সন্ধ্যার আগে দিয়ে এখানে বার বি কিউ পাওয়া যায়। এছাড়া এখানে দলবদ্ধভাবে আসলে বুফে খেতে পারবেন (এজন্য আপনাকে আগাম বুকিং দিতে হবে)। সেন্ট মারটিন’স দ্বীপে আগত পর্যটকদের মানসম্মত খাবার খাওয়ানোর লক্ষ্য নিয়ে এই রেস্টুরেন্টটি যাত্রা শুরু করে। একই সাথে প্রায় ২০০ জন অতিথি বসতে পারায় নারিকেল জিঞ্জিরাকে বলা চলে একটি অন্যতম বড় রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্টে আপনি মজাদার খাবারের স্বাদ লাভের পাশাপাশি পরিবেশকেও যেমন উপভোগ করতে পারবেন সেই সাথে আপনাকে আপনার স্বাস্থ্য নিয়েও ভাবতে হবে না। এখানকার খাবার খুবই মজাদার এবং রেস্টুরেন্টের ভেতরের কারুকাজ আপনার নজর কাড়বেই। একদল প্রশিক্ষিত দক্ষ কর্মী অপেক্ষা করছে আপনাকে ‘নারিকেল জিঞ্জিরা রেস্টুরেন্ট’ এ স্বাগত জানাতে।
সেন্ট মারটিন’স দ্বীপের অধিবাসীরা মাছের শুটকিও বিক্রি করে। এসব শুটকির দাম একটু বেশি হলেও এগুলো কক্সবাজারে পাওয়া যাওয়া শুতকির চেয়ে তাজা।
এখানকার বাজারের কাছে জেলেদের কাছ থেকে তাজা মাছ পাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হল খুব সকালবেলা। আপনি মাছ কিনে নিয়ে এসে হোটেলের বাবুর্চিকে দিতে পারেন আপনার মনমত ভেজে দিতে অথবা সন্ধ্যাবেলা মাছের বার বি কিউ উপভোগ করতে পারবেন। এখানকার কিছু কিছু হোটেলে আপনি চাইলে রান্নাঘরে গিয়ে নিজেই রান্না করতে পারবেন।
জেটি থেকে এসেই আপনাকে বেশকিছু হোটেল এবং দোকানের সারি অতিক্রম করে একটি টি আকারের জংশনে আসতে হবে। এখান থেকে বাম দিকে গেলে আপনি পূর্ব দিকের সৈকতে যেতে পারবেন (স্কুবা ডাইভ সেন্টারের পূর্বেই সিমেন্টের বাঁধ শেষ হয়ে গিয়েছে)। অপরদিকে ডানদিকে গেলে আপনি মূল সড়কে পৌঁছে যাবেন যেখানে বেশীরভাগ হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউজ অবস্থিত। এই প্রধান সড়কটি দ্বীপের উত্তরপশ্চিম অংশে গিয়ে শেষ হয়েছে।
একসময় বামে গেলে আপনি দ্বীপের কেন্দ্রস্থলে নবনির্মিত হাসপাতালে যেতে পারবেন। এখানে হাঁটতে আপনার মোটেও খারাপ লাগবে না বরং আপনি পৌঁছে যেতে পারেন সি টারটল হ্যাচারির উত্তরে অবস্থিত দ্বীপের পশ্চিম দিকের সৈকতে।
হাঁটা ছাড়া এখানে চলাচলের একমাত্র বাহন হলো সমতল আসনের সাইকেল ও রিকশা। এই দ্বীপে মোটর চালিত কোনো বাহন নেই এমনকি কোনো মোটর সাইকেলও নেই।
Questions, issues or concerns? I'd love to help you!