আজ সকালে এসএম সুলতানের সমাধিসৌধ দেখে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আমরা গোপালগঞ্জ জেলায় পৌছাই। যাত্রাপথটি মোটেও আরামদায়ক ছিল না কারন আমাদের কয়েক দফায় কয়েকটি পুরাতন লোকাল বাসে চড়তে হয়েছিল। নড়াইলের লোকাল বাসগুলোর মান ভাল না হলেও গোপালগঞ্জের লোকাল বাসগুলোর মান ছিল বেশ উন্নত। মহাসড়কটি যেমন চওড়া এবং আরামদায়ক ছিল তেমনি বাসের ভেতরেও পর্যাপ্ত জায়গা ছিল। গোপালগঞ্জে কোর্ট মসজিদ ঘুরে দেখার পর আমরা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধর উদ্দেশ্যে যাত্রা করি।
গোপালগঞ্জ শহর থেকে বাসে করে ৩০ মিনিট থেকে ৩৫ মিনিটের মধ্যে আমরা টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে যাই। শনিবার হওয়াতে রাস্তা যেমন খালি ছিল তেমনি সমাধিসৌধতেও কোন ভিড় ছিল না। মনে হচ্ছিল যেন সমাধিসৌধতে আমরাই একমাত্র দর্শনার্থী যদিও কিছুক্ষন পর কয়েকজন দর্শনার্থী আমাদের সাথে যোগ দেন। বিশাল এলাকার উপর অবস্থিত সমাধিসৌধতে সেসময় মাত্র পাঁচ থেকে ছয়জন পর্যটক উপস্থিত ছিলেন।
আকাশে মেঘ থাকলেও দিনটি ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল তাই সবকিছু ভাল করে দেখা যাচ্ছিল। সমাধিসৌধে ঢুকতে কোন প্রবেশমূল্য দিতে হয়না। সমাধিসৌধে প্রবেশের পর ২০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট বৃষ্টি হওয়াতে আমাদের একটি ছাদের নীচে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। এরপর আমরা সমাধি সৌধের প্রদর্শনী গ্যালারি ঘুরে দেখি যেখানে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন সময়ের ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এখানে একটি পাঠাগারও রয়েছে। পাঠাগারের পাশেই দর্শক গ্যালারিসহ একটি উন্মুক্ত মঞ্চ রয়েছে।
গ্যালারি থেকে বঙ্গবন্ধুর কবরের দূরত্ব বেশি হওয়ায় আমরা বৃষ্টি থামার পর সেদিকে রওনা হই। চমৎকার স্থাপত্য দিয়ে কবরটিকে আবৃত করে রাখা হয়েছে। এসময় কয়েকজনকে পবিত্র কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে দেখা যায়। কবরের কাছে সবার যাওয়ার অনুমতি থাকলেও এখানে ছবি তোলা নিষেধ।
সমাধিসৌধ দেখার পর সেখানে অবস্থিত কিছু চটপটি এবং ফুচকার দোকানে আমরা কিছুক্ষনের জন্য অবস্থান করি। আমাদের সাথে ভাংতি টাকা না থাকায় আমরা কয়েক রকমের স্ন্যাক্স কিনেছিলাম যাতে করে টাকা ভাঙ্গানোর পাশাপাশি একটু বিশ্রামও নেয়া যায়।
সমাধিসৌধের পাশেই একটি বিশাল ধানক্ষেত রয়েছে। বর্ষাকাল হওয়াতে ধানক্ষেতটি পানির নীচে ছিল। সেসময় আকাশ মেঘে পরিপূর্ণ ছিল এবং চমৎকার বাতাস বইছিল। এখানে আরও কিছুক্ষন থাকার ইচ্ছা থাকলেও পরবর্তী গন্তব্যে অর্থাৎ আড়পাড়া মুন্সীবাড়িতে যাওয়ার কারনে আমাদের সেই সুযোগ ছিল না।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ অবস্থিত। এখানে আসতে হলে আপনাকে গোপালগঞ্জ থেকে টুঙ্গিপাড়ায় আসতে হবে। এখানে আসার দিকনির্দেশনা নিম্নে প্রদান করা হলঃ
১। গোপালগঞ্জ জেলায় কিভাবে পৌছাবেন জানতে এখানে ক্লিক করুন
গোপালগঞ্জের লঞ্চ ঘাট থেকে বাসে করে টুঙ্গিপাড়ায় পৌছাতে পারবেন। আপনাকে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী তে বাস থেকে নামতে হবে। টুঙ্গিপাড়ায় পৌছাতে বাসের ভাড়া পরবে প্রায় ২৫/- টাকা। পাটগাতীর জিপিএস অবস্থান হল (২২°৫৩’৪০.৩০”উ, ৮৯°৫৩’২৫.৯০”পু)।
২। পাটগাতী থেকে ব্যাটারিচালিত বাহনে করে ১০/- টাকা ভাড়ায় ৬ মিনিট থেকে ১০ মিনিটে সমাধিসৌধে পৌছাতে পারবেন।
Gopalganj district is located 140 km away from Dhaka via Mawa Ferry Ghat.
1. Modhumoti Paribahan
Gopalganj to Saydabad/Gulistan via Mawa Ferry Ghat
Mobile: 01716019937 (Gopalganj)
01711900619 (Dhaka)
2. Tungipara Express
Gopalganj to Saydabad/Gulistan via Mawa Ferry Ghat
Mobile: 01716479631 (Gopalganj)
01716211642 (Dhaka)
3. dola Paribahan
Gopalganj to Saydabad/Gulistan via Mawa Ferry Ghat
mobile: 01711311756 (Gopalganj)
01199030181 (Dhaka)
4. Comfort Line
Gopalganj to Saydabad/Gulistan via Paturia Ferry Ghat
Mobile: 01716453061
1. Circuit House, Gopalganj
Contact to: Nejarot ( নেজারত ) Deputy Collector
Phone: 02-6685234 & 02-6685565
2. Zilla Parishad Cottage, Gopalganj
Contact to: Chief Executive Officer, Zila Parishad
Phone: 0668-61204
3. Hotel Modhumoti, Tungipara, Gopalganj
Contact to: Mr. Sheikh Ahmed Hossain Mirza
Phone: 02-6656349
Mobile: 01712-563227
4. Hotel Rana, Chourangi, Gopalganj
Contact to: Mr. Siraj Uddin Ahmed
Phone: 02-6685172
5. Hotel Shohag, Post Office Road, Gopalganj
Contact to: Mr. Shohrab Hossain
Phone: 0668-61740
টুঙ্গিপাড়ায় খাওয়ার জন্য বেশকিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট পাবেন। এগুলো সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন।
Questions, issues or concerns? I'd love to help you!