বানিয়াচং গ্রাম

ধরন: ওয়ার্ড / গ্রাম
সহযোগিতায়: Nayeem
Facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmail

বিস্তারিত

সিলেটের প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিন-পশ্চিমে অবস্থিত একটি অবিশ্বাস্য রকম বিশাল গ্রামের নাম বানিয়াচং। স্থানীয়রা এই গ্রামটিকে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রাম আবার অনেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে। বিশাল আয়তনের কারনে চারটি ইউনিয়নে ভাগ করা এই গ্রামটি বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নত একটি গ্রাম। এই গ্রামের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হল বিশালাকার সাগর দীঘি। প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এক কিলোমিটার প্রস্থের এই দিঘীটিকে তার বিশালতার কারনে “সাগর” বলে আখ্যায়িত করা হয়।

বানিয়াচং উপজেলাঃ ৪৮২.২৫ কিলোমিটার আয়তনের এই গ্রামটির উত্তরে সুল্লাহ এবং দিরাই উপজেলা, দক্ষিনে হবিগঞ্জ সদর এবং লাখাই উপজেলা, পূর্বে হবিগঞ্জ সদর এবং নবীগঞ্জ উপজেলা এবং পশ্চিমে আজমিরিগঞ্জ, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা অবস্থিত। এ গ্রামের মূল নদীগুলো হলঃ কুশিয়ারা নদী, কালাই নদী, এবং বোরাক নদী। এখানকার উল্ল্যেখযোগ্য বিলের মধ্যে আছেঃ চারাগাঁও বিল, বাটা বিল, সোনামুয়া বিল, ঢালা বিল, চাতাল বিল এবং চন্দ্র বিল।

বানিয়াচং শহরঃ ৭টি মৌজা নিয়ে গঠিত বানিয়াচং শহরের আয়তন ৩.০৬ কিলোমিটার। এখানকার জনসংখ্যা ২১১১১ জন যার মধ্যে পুরুষ ৫০.৭৫% এবং মহিলা ৪৯.২৫%। বানিয়াচং শহরে স্বাক্ষরতার হার ২৫.৩%। একসময় এই শহরটি প্রাচীন সিলেটের রাজধানী ছিল। এ শহরে একটি ডাক বাংলো আছে।


কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বানিয়াচং এর দূরত্ব ১৮১ কিলোমিটার। আপনি হবিগঞ্জ অথবা শায়েস্তাগঞ্জে পৌঁছে সিএনজি অটোরিকশা অথবা বাসে চড়ে বানিয়াচং এ পৌছাতে পারেন। হবিগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ থেকে বানিয়াচং এর দূরত্ব যথাক্রমে ২৪.২ ও ৩৬.২ কিলোমিটার।

কিভাবে পৌঁছাবেন: হবিগঞ্জ জেলা

ঢাকা থেকে ১৫১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হবিগঞ্জে আপনি সড়কপথে এবং রেলপথে যেতে পারবেন।

ঢাকা থেকে হবিগঞ্জে চলাচলকারি বাসগুলোর মধ্যে আছেঃ
১। দিগন্ত পরিবহন-সকাল ৯:১০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭:৪৫ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়; ভোর ৫:৩০ মিনিট থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ঢাকার পথে ছেড়ে যায়; ফোনঃ ০১৭১১৩২৯৯৪৪, ০৮২১-৫২৮৭৩ (হবিগঞ্জ), ০১৭১৮০১৬৯৬৩ (ঢাকা);
২। অগ্রদূত পরিবহন- সকাল ৯:১০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭:৪৫ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়; সকাল ৭:১০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকার পথে ছেড়ে যায়; ফোনঃ ০১৭১৮৬০০৫৫১, ০৮২১-৫২৩৫১ (হবিগঞ্জ), ০১৭১৬০৩৮৯৬১;
৩। বিসমিল্লাহ পরিবহন- ভোর ৬:৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭:১০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়; ভোর ৫:৪৫ মিনিট থেকে বিকাল ৪:৩০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকার পথে ছেড়ে যায়; ফোনঃ ০১৭১১৯০৮৬৮৪, ০৮২১-৫২৩৭১ (হবিগঞ্জ);

হবিগঞ্জ থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শায়েস্তাগঞ্জে ঢাকা থেকে ট্রেন আসা যাওয়া করে। আপনি ট্রেনে করে ঢাকা থেকে শায়েস্তাগঞ্জে পর্যন্ত যেতে পারেন। শায়েস্তাগঞ্জ থেকে বাস অথবা সিএনজি অটোরিকশায় করে আপনি হবিগঞ্জে পৌছাতে পারবেন।
ঢাকা থেকে শায়েস্তাগঞ্জে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর মধ্যে আছেঃ
১। পারাবত এক্সপ্রেসঃ ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় সকাল ৬:৪০ মিনিটে; শায়েস্তাগঞ্জে পৌঁছে সকাল ১০:০৫ মিনিটে; শায়েস্তাগঞ্জে বন্ধের দিনঃ মঙ্গলবার;
২। কালিনী এক্সপ্রেসঃ শায়েস্তা গঞ্জ থেকে ছেড়ে যায় সকাল ৯:২৫ মিনিটে; ঢাকায় পৌঁছে দুপুর ১:২৫ মিনিটে; ঢাকায় বন্ধের দিনঃ শুক্রবার;
৩। জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসঃ ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় দুপুর ২ টায়; শায়েস্তাগঞ্জে পৌঁছে রাত ৮:০৫ মিনিটে; শায়েস্তা গঞ্জ থেকে ছেড়ে যায় সকাল ১১:১৮ মিনিটে; ঢাকায় পৌঁছে বিকাল ৪ টায়; ঢাকায় ট্রেনটির কোন বন্ধের দিন না থাকলেও শায়েস্তাগঞ্জে ট্রেনটির বন্ধের দিন হল বৃহস্পতিবার;
৪। উপবন এক্সপ্রেসঃ শায়েস্তা গঞ্জ থেকে ছেড়ে যায় রাত ১০ টায়; ঢাকায় পৌঁছে রাত ১:৫০ মিনিটে; ঢাকায় বন্ধের দিনঃ বুধবার;

কোথায় থাকবেন

হবিগঞ্জে থাকার জন্য হোটেলগুলোর মধ্যে আছেঃ
১। হোটেল আল জামিল কমপ্লেক্স, জামিল কমপ্লেক্স, পুরাতন বাস স্ট্যান্ড;
২। হোটেল সোনার তরী, আশরাফ জাহান কমপ্লেক্স, কালীবাড়ি সড়ক;
৩। করিম রেস্ট হাউজ, পোস্ট অফিস সড়ক;
৪। খাজা রেস্ট হাউজ, তিনকোনা পুকুর পাড়;
৫। হোটেল বনানী, টাউন হল সড়ক;
৬। বন্ধন রেস্ট হাউজ, সিনেমা হল সড়ক;
৭। সার্কিট হাউজ, ফোনঃ ০৮৩১-৫২২২৪;
আরও তথ্যর জন্য ক্লিক করুন (http://www.habiganj.gov.bd/node/279793)

কি করবেন

১। গ্রামবাংলার সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে পারেন এবং তার ছবি তুলতে পারেন।
২। সাগরদীঘি দেখতে যেতে পারেন এবং সম্ভব হলে নৌকায় চড়তে পারেন।
৩। স্থানীয়দের সাথে ক্রিকেট, ফুটবলের মত বিভিন্ন খেলায় অংশ নিতে পারেন।
বানিয়াচং এর আরও কিছু ঐতিহাসিক স্থানে আপনি যেতে পারেন। এসব স্থানের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছেঃ বিখাগাল আখড়া, বিবির দরগা মসজিদ, শ্যাম বাউল আখড়া, দৌলতপুর আখড়া এবং প্রাচীন রাজবাড়ি (১৭৩৭-৩৮)

খাবার সুবিধা

বানিয়াচং এ বেশকিছু স্থানীয় রেস্টুরেন্টে আপনি মশলাদার খাবার খেতে পারবেন।

ভ্রমণ টিপস

প্রকৃতির সজীবতাকে উপভোগ করার জন্য বর্ষাকাল এখানে বেড়াতে আসার সর্বোৎকৃষ্ট সময়।

মানচিত্র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কথা বলুন

এই মুহূর্তে অনলাইনে না থাকায় আমরা দুঃখিত! কিন্তু আপনি আমাদের ই-মেইল পাঠাতে পারেন। আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেব।

আপনার প্রশ্ন বা সমস্যার সহযোগিতা করায় আমরা সর্বদা তৎপর!

ENTER ক্লিক করুন