কমনওয়েলথ ওয়ার সেমেট্রি চট্টগ্রাম কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশনের একটি সৌধ যেটি সাধারনভাবে চট্টগ্রাম ওয়ার সেমেট্রি নামে পরিচিত। কমনওয়েলথ ওয়ার সেমেট্রি চট্টগ্রামের দামপাড়া এলাকায়, ১৯ নং বাদশা মিয়া সড়কে অবস্থিত। এটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ২২ কিমি উত্তরে এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৮ কিমি দূরে অবস্থিত। ওয়ার সেমেট্রির প্রতিষ্ঠাকালে এই এলাকাটি একটি বিশাল ধানের ক্ষেত ছিল, যদিও বর্তমানে এটি বেশ উন্নত এলাকা এবং শহরের প্রানকেন্দ্র হিসেবে পরিগনিত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তি সময়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী চট্টগ্রাম ওয়ার সেমেট্রি প্রতিষ্ঠা করে। সূচনালগ্নে এখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈন্যদের প্রায় ৪০০টি কবর ছিল। তবে বর্তমানে এখানে ৭৩১ টি কবর বিদ্যমান যার ১৭টি অজানা ব্যক্তির। এখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত জাতীয় বিদেশী সৈন্যদের প্রায় ২০টি (১জন ডাচ এবং ১৯জন জাপানি) সমাধি বিদ্যমান। এছাড়া এখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) চট্টগ্রাম-বোম্বের একটি স্মারক বিদ্যামান।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর নিহত ৭৫৫ জন সদস্য চট্রগ্রামের এই সমাধিক্ষেত্রে শায়িত আছেন। এখানে সমাহিত সৈনিকদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের ৩৭৮ জন, কানাডার ২৫ জন, অস্ট্রেলিয়ার ৯ জন, নিউজিল্যান্ডের ২ জন, অবিভক্ত ভারতের ২১৪ জন, পূর্ব আফ্রিকার ১১ জন, পশ্চিম আফ্রিকার ৯০ জন, বার্মার (বর্তমান মিয়ানমার) ২ জন, নেদারল্যান্ডসের ১ জন, জাপানের ১৯ জন এবং বেসামরিক ৪ জন। কমনওয়েলথ গ্রেভ কমিশন এই সমাধিক্ষেত্রটির দেখাশোনা করে।
এই সমাধিক্ষেত্রটি চট্রগ্রামের দামপাড়ার ১৯ নং বাদশা মিয়া চৌধুরী সড়কে অবস্থিত। চট্রগ্রাম শহরের যেকোনো স্থান থেকে সিএনজি অটোরিকশায় করে এখানে আসতে পারবেন। তবে, বেশীরভাগ অটোরিকশা চালক সমাধিক্ষেত্রটিকে খ্রিষ্টানদের কবরস্থান হিসেবে চেনে তাই জায়গাটি খুঁজে পাওয়া একটু হলেও কঠিন।
চট্রগ্রাম বিভাগের সাতটি জেলার অন্যতম হল চট্রগ্রাম। এই জেলার উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি জেলা, দক্ষিনে কক্সবাজার জেলা, পূর্বে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা এবং পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা এবং বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।
ঢাকার সাথে চট্রগ্রামের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। বাসে করে সরাসরি ঢাকা থেকে চট্রগ্রামে যেতে পারবেন। আপনার সুবিধার্থে ঢাকা ও চট্রগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী কয়েকটি বাস সার্ভিস সম্পর্কে নিম্নে তথ্য প্রদান করা হলঃ
১। সাউদিয়া পরিবহন
আরামবাগ কাউন্টার, ফোনঃ +৮৮-০২-৭১০২৪৬৫
গাবতলি কাউণ্টার, ফোনঃ +৮৮-০২-৮০১৮৪৪৫
কলাবাগান কাউণ্টার, ফোনঃ +৮৮-০২-৯১২৪৭৯২
২। এস আলম
ফোনঃ +৮৮-০৩১-৬৩৬৯৯৭, ৬১১৪২৬
৩। হানিফ এন্টারপ্রাইজ
পান্থপথ কাউণ্টার, ফোনঃ ০১৭৩৪০২৬৭০
আরামবাগ কাউণ্টার, ফোনঃ ০১৭১৩৪০২৬৭১
সায়েদাবাদ কাউণ্টার, ফোনঃ ০১৭১৩৪০২৬৭৩
৪। গ্রিনলাইন পরিবহন
আরামবাগ কাউণ্টার, ফোনঃ ০২-৭১৯২৩০০
ফকিরাপুল কাউণ্টার, ফোনঃ ০২-৭১৯১৯০০
ঢাকা থেকে চট্রগ্রামের আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। আপনার সুবিধার্থে এই পথে চলাচলকারী কয়েকটি বিমান সংস্থা সম্পর্কে নিম্নে তথ্য প্রদান করা হলঃ
১। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ
ফোনঃ ০৯৬০৬৪৪৫৫৬৬, +৮৮০২৮৯৩২৩৩৮, +৮৮০২৮৯৩১৭১২
২। বাংলাদেশ বিমান
ফোনঃ +৮৮-০২-৮৯০১৬৬০, +৮৮-০২-৮৯০১৭৩০-৪৪
৩। নভো এয়ার
ফোনঃ ১৩৬০৩
৪। রিজেণ্ট এয়ারওয়েজ
ফোনঃ ০২৮৯৫৩০০৩ অথবা ১৬২৩৮
ঢাকার সাথে চট্রগ্রামের সরাসরি রেল যোগাযোগও রয়েছে। আপনার সুবিধার্থে এই পথে চলাচলকারী কয়েকটি ট্রেন সম্পর্কে নিম্নে তথ্য প্রদান করা হলঃ
১। মহানগর গোধূলি
ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়ঃ বিকাল ৪:৪০ মিনিটে
সাপ্তাহিক বন্ধের দিনঃ রবিবার
২। তুরনা নিশীথা
ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়ঃ রাত ১১:৩০ মিনিটে
কোন সাপ্তাহিক বন্ধের দিন নেই।
৩। সুবর্ণ এক্সপ্রেস
ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়ঃ দুপুর ৩:২০ মিনিটে
সাপ্তাহিক বন্ধের দিনঃ শুক্রবার
৪। মহানগর প্রভাতি
ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়ঃ সকাল ৭:৪০ মিনিটে
কোন সাপ্তাহিক বন্ধের দিন নেই
চট্রগ্রামে থাকার জন্য বেশকিছু বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে। আপনার সুবিধার্থে এসব হোটেল সম্পর্কে কিছু তথ্য নিম্নে প্রদান করা হলঃ
১। হোটেল গোল্ডেন ইন
ঠিকানাঃ ৩৩৬, স্টেশন রোড, চট্রগ্রাম
ফোনঃ ০৩১-৬১১০০৪
২। এশিয়ান এসআর হোটেল
ঠিকানাঃ ২৯১, স্টেশন রোড, চট্রগ্রাম
ফোনঃ ০৩১-২৮৫০৩৪৬-৮
৩। হোটেল পার্ক
ঠিকানাঃ ৬২৭, ডিটি রোড, কদমতলি, চট্রগ্রাম
ফোনঃ ০১৮১৯৩৮৮০১১
৪। হোটেল ল্যান্ডমার্ক
ঠিকানাঃ ৩৭২, শেখ মুজিব সড়ক, আগ্রাবাদ, চট্রগ্রাম
ফোনঃ ০৩১-৮১৩৫৯৮/৭২৭২৯৯
সমাধিক্ষেত্রের প্রতিটি কবরে শায়িত নিহত সৈনিকের জন্ম ও মৃত্যু তারিখ উল্ল্যেখ করা আছে। অসংখ্য গাছ ও ফুলের উপস্থিতি সমাধিক্ষেত্রের পরিবেশে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। আপনি এখানে ছবি তুলতে পারেন।
সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই সমাধিক্ষেত্রটি উন্মুক্ত থাকে।
আপনার প্রশ্ন বা সমস্যার সহযোগিতা করায় আমরা সর্বদা তৎপর!