চন্দ্রমহল নামে একটি ভবনকে কেন্দ্র করে রঞ্জিতপুরের কাছে একটি পিকনিক স্পট রয়েছে। সম্ভবত সৈয়দ আমানুল হুদা সেলিম নামক এক ব্যাক্তি এই ভবনটি নির্মাণ করেন এবং তাঁর স্ত্রী চন্দ্রের নামে ভবনটির নামকরণ করেন। তিনি ছিলেন নৌ বাহিনীর একজন কর্মকর্তা। প্রতিদিন অসংখ্য স্থানীয় পর্যটক এখানে আসেন। পূর্বে এখানে ঢুকতে কোন প্রবেশ মূল্য না দিতে হলেও বর্তমানে ২০/- টাকা প্রবেশ মূল্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। চন্দ্র মহল ছাড়াও পুরো এলাকাটি ফুল দিয়ে চমৎকারভাবে সাজানো হয়েছে। এদেশের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে এখানে ভাস্কর্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। একটি মিনি চিড়িয়াখানা ছাড়াও এখানে বেশ কয়েকটি পুকুরও আছে।
পানি উপর স্থাপিত চন্দ্রমহলে আপনাকে পানির নীচে নির্মিত একটি আন্ডারপাস দিয়ে আসতে হবে। ভবনটির অভ্যন্তরে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বেড়ানোর সময় সেখান থেকে শখের বশে সংগ্রহ করা বিভিন্ন জিনিসপত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
খুলনা-মংলা মহাসড়কের পাশে রঞ্জিতপুর গ্রামে চন্দ্রমহল অবস্থিত। বাসে করে ভ্রমন করলে আপনি এই গ্রামের কাছে নেমে যেতে পারেন। চন্দ্রমহলের কথা বললেই আপনাকে বাস চালক জায়গামত নামিয়ে দেবে। এছাড়া বাগেরহাট শহর থেকে আসা যাওয়ার জন্য ব্যাটারি চালিত বাহন ভাড়া করতে পারেন। চন্দ্রমহলের জিপিএস অবস্থান হল (২২°৪০’২২.০২”উ, ৮৯°৩৯’২৯.৫৪”পু); এখানে আসার জন্য বাগেরহাট থেকে খুলনায় চলাচলকারী বাস রয়েছে। ঢাকার গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে শাকুরা পরিবহনেও এখানে আসতে পারেন।
ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে করে বাগেরহাটে পৌছাতে পারবেন। ঢাকা থেকে বাগেরহাটে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে রয়েছঃ
১। মেঘনা পরিবহন
সায়েদাবাদ টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১৭১৭৩৮৮৫৫৩
ভাড়াঃ ৩৫০/-টাকা
২। শাকুরা পরিবহন
গাবতলি টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১১০১০৪৫০
ভাড়াঃ প্রায় ৫০০/-টাকা
৩। পর্যটক পরিবহন
সায়েদাবাদ টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১১১৩১০৭৮
ভাড়াঃ প্রায় ৩৫০/-টাকা
৪। সোহাগ পরিবহন
গাবতলি টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১৮৬৭৯৩০২
ভাড়াঃ ৩৮০/- টাকা
প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা মধ্যে তিনটি লঞ্চ এবং একটি স্টিমার ঢাকার সদরঘাট থেকে পিরোজপুরের হুলারহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। হুলারহাটে পৌঁছে আপনাকে বাসে করে অথবা ভাড়া গাড়িতে করে সড়কপথে পিরোজপুর হয়ে বাগেরহাটে পৌছাতে হবে।
ঢাকার সদরঘাট থেকে পিরোজপুরের হুলারহাটের উদ্দেশ্যে চলাচলকারী লঞ্চগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
• আল-খালাদি
• পার্বত
• ফারহানা
• টিপু
ছাড়ার সময়ঃ বিকাল ৫টা
পৌছানোর সময়ঃ সকাল ৯টা
ভাড়াঃ
রেগুলারঃ ১৮০/-টাকা
সিঙ্গেল কেবিনঃ ৫০০/-টাকা
ডবল কেবিনঃ ৮০০/-টাকা
বর্তমানে রাজধানী ঢাকার সাথে বাগেরহাটের আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। তবে, বাগেরহাটে একটি বিমানবন্দর নির্মাণাধীন রয়েছে। সুতরাং, অদুর ভবিষ্যতেই ঢাকা ও বাগেরহাটের মধ্যে আকাশপথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়।
বাগেরহাটে থাকার জন্য খুব বেশি হোটেল নেই। তবে এখানে রেল রোডে অবস্থিত মমতাজ হোটেলে থাকতে পারেন। এই হোটেলটিতে সুযোগ সুবিধা কম থাকলেও সেবার মান মোটামোটি ভাল এবং খরচও একটু বেশি। এছাড়া এই হোটেলের আশেপাশে থাকার জন্য আরো কিছু হোটেল রয়েছে।
আপনার প্রশ্ন বা সমস্যার সহযোগিতা করায় আমরা সর্বদা তৎপর!