গাংগাটিয়ার জমিদারের সর্বশেষ বংশধর মানব বাবু বসবাস করার কারনে বর্তমানে এই জমিদার বাড়িটি মানব বাবুর বাড়ি নামে পরিচিত। জমিদার বাড়ির কাছেই মানব বাবু মাছ চাষ করেন। আপনি চাইলে তার সাথেই মাছের খামার ঘুরে দেখতে পারবেন।
মানব বাবুর ভাষ্যমতে তারা হলেন এদেশের সবচেয়ে ছোট জমিদার পরিবার। তারা হলেন ব্রাহ্মণ গোত্রের এবং তাঁদের পূর্বসূরীরা এখানে ভারত থেকে এসেছিল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা জমিদার বাড়িটির ব্যপক ক্ষতিসাধন করে। বর্তমানে মানব বাবু এখানে তার স্ত্রী ও বোনকে নিয়ে বাস করছেন। মানব বাবু এবং তাঁর পরলোকগত কোন ভাইয়েরই কোন সন্তান নেই।
গাংগাটিয়া জমিদার বাড়ির সম্মুখভাগে রোমান স্থাপত্যের কলাম রয়েছে। সামনে থেকে এই জমিদার বাড়িটির স্থাপত্যশৈলী এক কথায় অসাধারণ। এখানে খুব কম পর্যটক বেড়াতে আসেন। ছোট এই জমিদার বাড়িটি বিশাল এলাকার উপর অবস্থিত। জমিদার বাড়ির সম্মুখ দরজাটি নকশায় পরিপূর্ণ।
বাংলাদেশের বেশীরভাগ হিন্দু জমিদার বাড়ি বেশ নাজুক অবস্থায় রয়েছে। বেশীরভাগ হিন্দু জমিদার ধর্মীয় অস্থিরতা এবং অন্যান্য প্রতিকুল পরিস্থিতির কারনে এদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। তবে, স্থানীয়দের বন্ধুত্বসুলভ আচরণ এবং সার্বিক সহযোগিতায় এখনও কিছু হিন্দু জমিদার পরিবার গর্বের সাথে বসবাস করছে।
গাংগাটিয়া জমিদার বাড়িতে পৌছানোর সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দিক নির্দেশনা নিম্নে প্রদান করা হলঃ
১। কিশোরগঞ্জ শহরের বটতলী থেকে ব্যাটারি চালিত বাহনে করে ২০/- টাকা ভাড়ায় প্রায় ২৫ মিনিটে গাংগাটিয়ার কাছে পৌছাতে পারবেন। টেম্পোস্ট্যান্ডের জিপিএস অবস্থান হল (২৪°২৬’২৯.৬৫”উ, ৯০°৪৬’৩৬.৮৬”পু) এবং যে স্থানে ব্যাটারি চালিত বাহন থেকে নামবেন সেখানকার জিপিএস অবস্থান হল (২৪°২৭’১৪.৯৬”উ, ৯০°৪২’৮.৫৮”পু);
২। ব্যাটারি চালিত বাহন থেকে নামার পর আর কোন বাহন পাবেন না। তাই স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করে ১০ মিনিট থেকে ১২ মিনিট হাঁটলে আপনি জমিদার বাড়িতে পৌঁছে যাবেন। মানব বাবুর বাড়ি নামে পরিচিত গাংগাটিয়া জমিদারবাড়ির জিপিএস অবস্থান হল (২৪°২৭’৪৫.৬৩”উ, ৯০°৪২’১১.৮২”পু);
কিশোরগঞ্জ সদরের অবস্থান ২৪.৪৩৩৩°উ ৯০.৭৮৩৩°পূর্বে। ১৯৩.৭৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কিশোরগঞ্জ সদরে প্রায় ৫৫৮২৮টি বসতবাড়ি রয়েছে। এই জেলায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিত্ব জন্মগ্রহন করেছেন। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার (কিশোরগঞ্জ জেলা) উত্তরে নান্দাইল উপজেলা, দক্ষিনে পাকুন্দিয়া এবং কাটিয়াদি উপজেলা, পূর্বে করিমগঞ্জ এবং তাড়াইল উপজেলা পশ্চিমে হোসাইনপুর ও নান্দাইল উপজেলা অবস্থিত। কিশোরগঞ্জ জেলার প্রধান নদী হল নরসুন্দা নদী।
ঢাকা ও কিশোরগঞ্জের মধ্যে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
১। জলসিরি
ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জে চলাচল করে
প্রথম বাস ছাড়ে ভোর ৫টায় এবং শেষ বাস ছেড়ে যায় সন্ধ্যা ৭টায়
ভাড়াঃ ১৩০/- টাকা (পরিবর্তনশীল)
২। নাবিল পরিবহন
ঠিকানাঃ ১৫/১, পুরাতন গাবতলি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৮
ফোনঃ ০২-৯০০৭০৩৬, ০২-৯০১১১৪৩
৩। ড্রিম লাইন
ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে কিশোরগঞ্জ চলাচল করে
ফোনঃ ০১৭১১৩৭৭৫৮৬
৪। কিশোরগঞ্জের বোটরিশ বাসস্ট্যান্ড থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
একতা সার্ভিস (লোকাল)
কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব হয়ে ঢাকার সায়েদাবাদে চলাচল করে
ভোর ৬:৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রতি ১৫ মিনিট পরপর ছেড়ে যায়।
৫। ঈশা খাঁ সুপার গেইট লক
কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার সায়েদাবাদে চলাচল করে
ভোর ৬:৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রতি ১৫ মিনিট পরপর ছেড়ে যায়
৬। এম কে সুপার
কিশোরগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের মধ্যে চলাচল করে
ভোর ৬:৫০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬:১০ মিনিট পর্যন্ত প্রতি ১৫ মিনিট পরপর ছেড়ে যায়
৭। অতিথি
কিশোরগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের মধ্যে চলাচল করে
ভোর ৬:৪৫ মিনিটে এবং সকাল ৭:২০ মিনিটে দুটি বাস ছেড়ে যায়
আপনাকে আগাম এই বাসের আসন সংরক্ষণ করতে হবে।
মোবাইলঃ ০১৭১৮৪৮১১৯২ (কিশোরগঞ্জ কাউণ্টার)
০১৯১৯০১৯১৯৭ (টাঙ্গাইল কাউণ্টার)
৮। এশা এন্টারপ্রাইজ
কিশোরগঞ্জ ও চট্রগ্রামের মধ্যে চলাচল করে
দুপুর ১:২০ মিনিটে এবং দুপর ২:২০ মিনিটে দুটি বাস ছেড়ে যায়
আপনাকে আগাম এই বাসের আসন সংরক্ষণ করতে হবে।
মোবাইলঃ ০১৭১৩৫৭৭৩০৪
কিশোরগঞ্জে থাকার জন্য হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
১। হোটেল তেপান্তর প্রিন্সেস
জামিরদিয়া মাস্টার বাড়ি, ভালুকা
ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ
২। হোটেল রিভার ভিউ
স্টেশন রোড, কিশোরগঞ্জ
৩। হোটেল শাহিনা (আবাসিক)
স্টেশনরোড, কিশোরগঞ্জ
3. Hotel shahina (Resident)
৪। বাংলাদেশ গেস্ট হাউজ
স্টেশন রোড, কিশোরগঞ্জ
৫। হোটেল গাংচিল (আবাসিক)
স্টেশন রোড, কিশোরগঞ্জ
জমিদার বাড়ির ছবি তোলার পাশাপাশি এটির ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে পারেন।
এখানে খাওয়ার জন্য হোটেল ও রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাবেন। কিশোরগঞ্জ জেলায় খাওয়ার ব্যাবস্থা সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
আপনার প্রশ্ন বা সমস্যার সহযোগিতা করায় আমরা সর্বদা তৎপর!