ব্যাপারটা অবাক করার মতো হলেও এই রিসোর্টটি মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট নামে খুব একটা পরিচিত না হলেও মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি নামেই সর্বাধিক পরিচিত। সুন্দরবন থেকে মাত্র দুই ঘণ্টার দূরত্বে সাতক্ষীরা শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত এই রিসোর্টটি প্রায় ১০০ একর জমির উপর স্থাপিত।
রিসোর্টটি বেশ খোলামেলা এবং বহু জাতের গাছপালায় পরিপূর্ণ হওয়ায় এখানে আগত অতিথিরা একদিকে যেমন প্রকৃতির সবুজের কাছাকাছি আসতে পারছেন আবার অন্যদিকে বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নেওয়ারও সুযোগ পাচ্ছেন। অতিথিদের থাকার জন্য এখানে চারটি ভবন রয়েছে যেগুলোর একটি লেকের উপরে অবস্থিত। এই রিসোর্টে ন্যায্য ভাড়ায় মোট ৩০টি কক্ষ রয়েছে। চমৎকার কারুকাজ সম্পন্ন এসব কক্ষে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে যেমনঃ শীতাতপ নিয়ন্ত্রক, টেলিভিশন, ইন্টারকম, গিজার ইত্যাদি। এই রিসোর্টের অভিজ্ঞ বাবুর্চিদের প্রস্তুতকৃত দেশী এবং চাইনিজ খাবার খেতে পারবেন।
মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্টের সবুজ ভুমিতে যেমন হাঁটা ও বসার ব্যবস্থা আছে তেমনি এখানকার পুকুরে সাঁতার কাটতে পারবেন। এছাড়া এখানকার লেকে প্যাডেল বোটে করে ঘুরতে পারবেন এবং মাছ ধরে সময় কাটাতে পারবেন। এখানে আগত অল্প বয়সী অতিথিদের জন্য এখানে রয়েছে খেলার মাঠ, ত্রিমাত্রিক চিড়িয়াখানা এবং বিভিন্ন আকর্ষণীয় ভাস্কর্য। এছাড়া রিসোর্টের অতিথিদের জন্য ব্যাডমিণ্টন এবং টেবিল টেনিস খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। মহিলা ও পুরুষদের জন্য পৃথক মসজিদ রয়েছে এই রিসোর্টে।
রিসোর্টে অবস্থিত চিড়িয়াখানাটিকে বলা যায় এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। দেশের সর্ববৃহৎ এই বেসরকারি চিড়িয়াখানায় রয়েছে নানা প্রজাতির প্রাণী ও পাখি যেগুলো দেখতে পারাটা এখানে আগতদের জন্য একটি অন্যতম বিনোদনের মাধ্যম।
মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট সাতক্ষীরা শহর থেকে মাত্র ৪.৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সাতক্ষীরা শহর থেকে বাস অথবা সিএনজি অটোরিকশায় করে রিসোর্টে পৌছাতে পারবেন। সাতক্ষীরা থেকে মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্টে যাওয়ার দিক নির্দেশনা পেতে এখানে ক্লিক করুন
ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় শুধুমাত্র সড়কপথে যাওয়া যায়।
আপনি ফেরিতে করে নদী অতিক্রম করে বাসে করে সাতক্ষীরায় যেতে পারবেন। ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
১। ঈগল পরিবহন
গাবতলি কাউণ্টার, ফোনঃ ৮০১৭৬৯৮, ৮০১৭৩২০
২। হানিফ এন্টারপ্রাইজ
গাবতলি কাউণ্টার, ফোনঃ ৮০১১৭৫৯
৩। এ কে ট্র্যাভেলস
গাবতলি কাউণ্টার, ফোনঃ ০২-৮০৩২৯১৬, ০১১৯১৬২০৬২১
ভাড়াঃ ৫৫০/- টাকা (নন-এসি), ১০০০/- টাকা (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত)
১। রিসোর্টের প্রধান আকর্ষণ চিড়িয়াখানার বিভিন্ন প্রাণীদের দেখে সময়টা উপভোগ করতে পারেন এবং এসব প্রাণীদের ছবি তুলতে পারেন।
২। লেকে নৌকা ভ্রমন করতে পারেন।
৩। বারবিকিউ পার্টি করতে পারেন।
৪। শিশুরা সঙ্গে থাকলে তারা চিলড্রেন পার্ক উপভোগ করতে পারে।
৫। পুকুরে মাছ ধরতে পারেন।
৬। এখানে বাংলাদেশের বৃহত্তম মাছের অ্যাকিউরিয়াম দেখতে পারবেন।
রিসোর্টের অভ্যন্তরে অবস্থিত রেস্টুরেন্টে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
আপনার প্রশ্ন বা সমস্যার সহযোগিতা করায় আমরা সর্বদা তৎপর!