এই বনাঞ্চলটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত। এই বনের কাছে আদিবাসী টিপরা সম্প্রদায়ের একটি গ্রাম রয়েছে। এছাড়াও, এটির অভ্যন্তরে স্থানীয় কিছু বাসিন্দারা বসবাস করে। এদেশের কিছু দুর্লভ প্রাণীর ছাড়াও এ বনে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিত ও গাছপালা। বনের মধ্যে যারা রোমাঞ্চকর অভিযান করতে চান তাদের জন্য এই রিজার্ভ ফরেস্টটি যথার্থ স্থান।
১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বনের আয়তন প্রায় ১৭৯৫.৫৪ হেক্টর। রেমা ফরেস্ট বিট এবং কালেঙ্গা ফরেস্ট বিটের সমন্বয়ে এই রিজার্ভ ফরেস্টটি গঠিত হয়েছে। আপনি এই বনের যেকোনো একটি অংশ দিয়ে প্রবেশ করে অপর অংশ দিয়ে বের হতে পারেন অথবা যেকোনো একটি অংশে ঘুরতে পারেন।
সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় রেমা-কালেঙ্গা রিজার্ভ ফরেস্ট অবস্থিত। এই রিজার্ভ ফরেস্টটি ঢাকা থেকে প্রায় ১৫১ কিলোমিটার এবং হবিগঞ্জ থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হবিগঞ্জে পৌছানোর পর আপনি বাস অথবা সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক ধরে চুনারুঘাটে পৌছাতে পারেন।
ঢাকা থেকে ১৫১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হবিগঞ্জে আপনি সড়কপথে এবং রেলপথে যেতে পারবেন।
ঢাকা থেকে হবিগঞ্জে চলাচলকারি বাসগুলোর মধ্যে আছেঃ
১। দিগন্ত পরিবহন-সকাল ৯:১০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭:৪৫ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়; ভোর ৫:৩০ মিনিট থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ঢাকার পথে ছেড়ে যায়; ফোনঃ ০১৭১১৩২৯৯৪৪, ০৮২১-৫২৮৭৩ (হবিগঞ্জ), ০১৭১৮০১৬৯৬৩ (ঢাকা);
২। অগ্রদূত পরিবহন- সকাল ৯:১০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭:৪৫ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়; সকাল ৭:১০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকার পথে ছেড়ে যায়; ফোনঃ ০১৭১৮৬০০৫৫১, ০৮২১-৫২৩৫১ (হবিগঞ্জ), ০১৭১৬০৩৮৯৬১;
৩। বিসমিল্লাহ পরিবহন- ভোর ৬:৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭:১০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়; ভোর ৫:৪৫ মিনিট থেকে বিকাল ৪:৩০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকার পথে ছেড়ে যায়; ফোনঃ ০১৭১১৯০৮৬৮৪, ০৮২১-৫২৩৭১ (হবিগঞ্জ);
হবিগঞ্জ থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শায়েস্তাগঞ্জে ঢাকা থেকে ট্রেন আসা যাওয়া করে। আপনি ট্রেনে করে ঢাকা থেকে শায়েস্তাগঞ্জে পর্যন্ত যেতে পারেন। শায়েস্তাগঞ্জ থেকে বাস অথবা সিএনজি অটোরিকশায় করে আপনি হবিগঞ্জে পৌছাতে পারবেন।
ঢাকা থেকে শায়েস্তাগঞ্জে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর মধ্যে আছেঃ
১। পারাবত এক্সপ্রেসঃ ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় সকাল ৬:৪০ মিনিটে; শায়েস্তাগঞ্জে পৌঁছে সকাল ১০:০৫ মিনিটে; শায়েস্তাগঞ্জে বন্ধের দিনঃ মঙ্গলবার;
২। কালিনী এক্সপ্রেসঃ শায়েস্তা গঞ্জ থেকে ছেড়ে যায় সকাল ৯:২৫ মিনিটে; ঢাকায় পৌঁছে দুপুর ১:২৫ মিনিটে; ঢাকায় বন্ধের দিনঃ শুক্রবার;
৩। জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসঃ ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় দুপুর ২ টায়; শায়েস্তাগঞ্জে পৌঁছে রাত ৮:০৫ মিনিটে; শায়েস্তা গঞ্জ থেকে ছেড়ে যায় সকাল ১১:১৮ মিনিটে; ঢাকায় পৌঁছে বিকাল ৪ টায়; ঢাকায় ট্রেনটির কোন বন্ধের দিন না থাকলেও শায়েস্তাগঞ্জে ট্রেনটির বন্ধের দিন হল বৃহস্পতিবার;
৪। উপবন এক্সপ্রেসঃ শায়েস্তা গঞ্জ থেকে ছেড়ে যায় রাত ১০ টায়; ঢাকায় পৌঁছে রাত ১:৫০ মিনিটে; ঢাকায় বন্ধের দিনঃ বুধবার;
হবিগঞ্জে থাকার জন্য হোটেলগুলোর মধ্যে আছেঃ
১। হোটেল আল জামিল কমপ্লেক্স, জামিল কমপ্লেক্স, পুরাতন বাস স্ট্যান্ড;
২। হোটেল সোনার তরী, আশরাফ জাহান কমপ্লেক্স, কালীবাড়ি সড়ক;
৩। করিম রেস্ট হাউজ, পোস্ট অফিস সড়ক;
৪। খাজা রেস্ট হাউজ, তিনকোনা পুকুর পাড়;
৫। হোটেল বনানী, টাউন হল সড়ক;
৬। বন্ধন রেস্ট হাউজ, সিনেমা হল সড়ক;
৭। সার্কিট হাউজ, ফোনঃ ০৮৩১-৫২২২৪;
আরও তথ্যর জন্য ক্লিক করুন (http://www.habiganj.gov.bd/node/279793)
1. বার্ড সাফারি- বার্ড সাফারিতে বেড়াতে এলে এখানকার বিভিন্ন প্রকারের পাখির সৌন্দর্যে আপনি নিঃসন্দেহে বিমোহিত হবেন।
2. জঙ্গল সাফারি- বিশাল আয়তনের এই জঙ্গলে আপনি রোমাঞ্চকর মনোভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন । যারা বনের মধ্যে দুর্গম যাত্রা করে আনন্দ পান তাদের জন্যও এই রিজার্ভ ফরেস্টটি একটি আদর্শ স্থান। ছবি তোলা যদি আপনার শখ হয়ে থাকে তবে এই ফরেস্টের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি তুলতে আপনাকে আসতে হবেই।
শায়েস্তাগঞ্জ ও চুনারুঘাটে খাওয়ার জন্য আপনি বেশকিছু রেস্টুরেন্ট পাবেন। এসব রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য আপনি অনেক পদের ও স্বাদের খাবার পাবেন।
১। অক্টোবর থেকে এপ্রিল এখানে আসার সবচেয়ে ভাল সময়।
২। এই রিজার্ভ ফরেস্টের অভ্যন্তরে কোন রেস্টুরেন্ট না থাকায় আপনি সাথে করে খাবার ও পানি আনতে পারেন।
আপনার প্রশ্ন বা সমস্যার সহযোগিতা করায় আমরা সর্বদা তৎপর!
My relatives always say that I am killing my time here at web,
except I know I am getting experience all the time by reading
thes fastidious posts.
Thanks very much. Stay with us and give your valuable suggestions.