খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলায় (খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কে) খানা জাহানের সমাধির উল্টোদিকে রনবিজয়পুর মসজিদ অবস্থিত। বাংলাদেশের বৃহত্তম গম্বুজ রয়েছে এই মসজিদে। খিলানের উপর ভর করা এই মসজিদের গম্বুজটি প্রায় ১১ মিটার (৩৬ ফুট) প্রশস্ত। রনবিজয়পুর মসজিদের কোণায় সরু গোলাকার টাওয়ার রয়েছে এবং মসজিদের বাইরের নকশার কাজ সামান্য বাঁকানো। তবে মসজিদের মূল মিহরাবে ফুলের নকশা রয়েছে। খান জাহানের স্থাপত্যশৈলী অনুসরণ করে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ষাট এবং সত্তরের দশকে রনবিজয়পুর মসজিদটি কয়েকদফা মেরামত করা হয়। তবে, মসজিদের গম্বুজের অভ্যন্তরের এবং বাইরের দেয়ালের আদ্রতা দূর করতে মসজিদটিকে আরো মেরামতের প্রয়োজন আছে।
খুলনা থেকে ৮৬.৯ কিলোমিটার দূরে রনবিজয়পুর মসজিদ অবস্থিত। বাগেরহাট শহরে পৌছে রিক্সা নিয়ে এই মসজিদে যেতে পারেন।
ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে করে বাগেরহাটে পৌছাতে পারবেন। ঢাকা থেকে বাগেরহাটে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে রয়েছঃ
১। মেঘনা পরিবহন
সায়েদাবাদ টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১৭১৭৩৮৮৫৫৩
ভাড়াঃ ৩৫০/-টাকা
২। শাকুরা পরিবহন
গাবতলি টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১১০১০৪৫০
ভাড়াঃ প্রায় ৫০০/-টাকা
৩। পর্যটক পরিবহন
সায়েদাবাদ টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১১১৩১০৭৮
ভাড়াঃ প্রায় ৩৫০/-টাকা
৪। সোহাগ পরিবহন
গাবতলি টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১৮৬৭৯৩০২
ভাড়াঃ ৩৮০/- টাকা
প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা মধ্যে তিনটি লঞ্চ এবং একটি স্টিমার ঢাকার সদরঘাট থেকে পিরোজপুরের হুলারহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। হুলারহাটে পৌঁছে আপনাকে বাসে করে অথবা ভাড়া গাড়িতে করে সড়কপথে পিরোজপুর হয়ে বাগেরহাটে পৌছাতে হবে।
ঢাকার সদরঘাট থেকে পিরোজপুরের হুলারহাটের উদ্দেশ্যে চলাচলকারী লঞ্চগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
• আল-খালাদি
• পার্বত
• ফারহানা
• টিপু
ছাড়ার সময়ঃ বিকাল ৫টা
পৌছানোর সময়ঃ সকাল ৯টা
ভাড়াঃ
রেগুলারঃ ১৮০/-টাকা
সিঙ্গেল কেবিনঃ ৫০০/-টাকা
ডবল কেবিনঃ ৮০০/-টাকা
বর্তমানে রাজধানী ঢাকার সাথে বাগেরহাটের আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। তবে, বাগেরহাটে একটি বিমানবন্দর নির্মাণাধীন রয়েছে। সুতরাং, অদুর ভবিষ্যতেই ঢাকা ও বাগেরহাটের মধ্যে আকাশপথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়।
বাগেরহাটে থাকার জন্য খুব বেশি হোটেল নেই। তবে এখানে রেল রোডে অবস্থিত মমতাজ হোটেলে থাকতে পারেন। এই হোটেলটিতে সুযোগ সুবিধা কম থাকলেও সেবার মান মোটামোটি ভাল এবং খরচও একটু বেশি। এছাড়া এই হোটেলের আশেপাশে থাকার জন্য আরো কিছু হোটেল রয়েছে।
প্রায় ৩৫ ফুট (১১ মিটার) প্রশস্ত বাংলাদেশের বৃহত্তম গম্বুজটি দেখতে পারেন। রনবিজয়পুর মসজিদে ষাটের দশকের স্থাপত্যশৈলী দেখতে পারবেন। মসজিদের ভেতরে কারুকাজ না থাকলেও মূল মিহরাবে ফুলের নকশা রয়েছে।
এখানে খাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডের কাছে এবং দরগার কাছে কিছু ধাবা রয়েছে। তবে, ধাবায় খাওয়ার পূর্বে এটি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিন।
এখানে কেনাকাটার জন্য তসবিহ এবং ক্ষুদ্র অলংকার পাবেন।
আপনার প্রশ্ন বা সমস্যার সহযোগিতা করায় আমরা সর্বদা তৎপর!