১৯১৩ সালে একটি চারতলা ভবনে এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে প্রকৃতির ইতিহাস, বিশ্বসভ্যতা, মানবজাতির বিবর্তন, সমসাময়িক চিত্রকর্ম সহ বিভিন্ন বিভাগে মোট চল্লিশটি গ্যালারি রয়েছে।
জাদুঘরের বিশাল সংগ্রহের মধ্যে রয়েছেঃ প্রাচীনমুদ্রা, শিল্পকর্ম, রুপার গয়না, হাতিরদাঁত, নকশীকাঁথা ও বিখ্যাত মসলিন কাপড়, মুঘল আমলের অস্ত্র ও গোলাবারুদ, বৌদ্ধ এবং মুসলিম শাসনামলের চিত্রকর্ম এবং মূর্তি, বিষ্ণুমূর্তি, শহর এবং গ্রামের জীবনযাত্রার বিন্যাস, গ্রামবাংলার হাতেরকাজ, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অমূল্য স্মারক ও দলিল সহ বহু মূল্যবান এবং দুর্লভ জিনিস।
জাদুঘরের মূল ভবনে প্রবেশের ঠিক আগেই (যেখানে দর্শনার্থীরা জাদুঘরের ইতিহাস শুনতে জড়ো হন) এবং প্রবেশের সাথে সাথে হলরুমে বেশকিছু প্রাচীন কামান চোখে পরবে। জাদুঘরে প্রবেশের পর হল রুম অতিক্রম করে বিভিন্ন তলায় যাওয়ার জন্য সিঁড়ি দেখতে পাবেন। জাদুঘরের বিভিন্ন গ্যালারির পাশাপাশি একটি ছোট কক্ষও রয়েছে যেখানে গাইডরা দর্শনার্থীদের ইতিহাস সম্পর্কে বর্ণনা করে থাকেন।
ঢাকা শহরের যেকোন স্থান থেকে ১৫/- টাকা থেকে ৩০/- টাকা ভাড়ায় মধ্যে আপনি শাহবাগে আসতে পারবেন। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশায় এবং রিকশায় ভাড়া দিতে হবে যথাক্রমে প্রায় ১৫০/- টাকা থেকে ২০০/- টাকা এবং ৫০/- টাকা থেকে ৭০/- টাকা। গুলশান, বনানী অথবা বারিধারার অভিজাত এলাকা থেকে ভ্রমন করলে অটোরিকশায় আসাই শ্রেয় কেননা এসব স্থান থেকে সরাসরি রিকশা চলাচল করে না।
জাদুঘরের অভ্যন্তরে ছবি তোলা নিষেধ হলেও জাদুঘরের বাইরের মনোরম পরিবেশে ছবি তুলতে পারেন। পুরো জাদুঘরটি ভালভাবে ঘুরে দেখতে আপনার ভালই সময় লাগবে এবং এতে করে নিঃসন্দেহে একটি স্মরণীয় দিন কাটাবেন আপনি।
জাদুঘরের উত্তর দিকে অবস্থিত এলিফ্যাণ্ট রোডে খাওয়ার জন্য প্রচুর হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে। এছাড়া জাদুঘর সংলগ্ন ফুটপাতে চটপটি, ফুচকাসহ নানারকম মজাদার ও হালকা খাবার খেতে পারবেন।
বিশাল এই জাদুরঘরটি পুরোপুরি ঘুরে দেখতে বেশ সময় লাগবে। যেহেত, জাদুঘরের অভ্যন্তরে খাবার নিয়ে প্রবেশের অনুমতি নেই তাই জাদুঘরে ঢোকার আগে ভালভাবে খেয়ে নেওয়াই শ্রেয়।
যোগাযোগের জন্য তথ্যঃ
ফোনঃ ৮৮-০২-৮৬১৯৩৯৬-৯, ৮৬১৯৪০০
ফ্যাক্সঃ ৮৮-০২-৮৬১৫৫৮৫
ইমেইলঃ dgmuseum@yahoo.com
museum@bangladeshmuseum.gov.bd
ওয়েব সাইটঃ http://bangladeshmuseum.gov.bd
আপনার প্রশ্ন বা সমস্যার সহযোগিতা করায় আমরা সর্বদা তৎপর!