লীলাভুমি পাথরঘাট ৯-১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই স্থানটি কসবা উঁচাই অথবা মহিপুর বলেও পরিচিত যেটি। এখানকার ২০০ মিটার উত্তরে একটি প্রাচীন পুকুর আছে। পালদের শাসনামলে এই লেকের উত্তরে খ্রিষ্টান মিশনারিজরা কিছু ভবন নির্মাণ করে। এখানে আসলে দেখতে পাবেন ১৮ ফুট পানির নীচে তুলশি গঙ্গা নদীর স্রোতের সাথে পাথর বয়ে নিয়ে আসা। এছাড়াও এখানে একটি প্রাচীন ভবনও আছে। ধারনা করা হয়ে থাকে যে তুলশি গঙ্গা নদীর কারনে এখানকার উঁচুস্থাপনাগুলো নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। খ্রিষ্টান মিশনারিজদের নির্মাণ করা ভবনের ৩০০ মিটার দুরেই একটি মসজিদ ও মাজার আছে। স্থানীয়রা এটিকে পীর কেবলা নাসিরের মাজার বলে থাকে যদিও হিন্দুরা এটিকে বলে নিমাই পীরের দরগা। এটির পশ্চিমে খ্রিষ্টান মিশনারিজদের নয়টি পুকুর ছিল এবং এ কারনেই জায়গাটির নাম ছিল নয়পুকুরিয়া।
লীলাভুমি পাথরঘাট জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে জয়পুরহাট কিভাবে যাবেন ইতিমধ্যেই উল্লেখ করা হয়েছে। পাঁচবিবি উপজেলায় যাওয়ার দিকনির্দেশনা পেতে ক্লিক করুন
ঢাকা থেকে প্রায় ২৫৭.১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জেলায় আপনি বাস অথবা ট্রেনে যেতে পারেন।
এস আর ট্রাভেলসঃ
কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ড (কাউন্টার-১):০২-৮০১৩৭৯৩, ০২-৮০১৯৩১২, ০১৭১১-৩৯৪৮০১
আব্দুল্লাহপুর বাস স্ট্যান্ডঃ ০১৭১১-৯৪৪০২৩
গাবতলি বাস টার্মিনালঃ ০২-৮০১১২২৬
বিজয় নগর, কাকরাইলঃ ০২-৯৩৫২১১৮
মহাখালি বাস টার্মিনালঃ ০২-৮৮৩৪৮৩৩, ০১৫৫২-৩১৫৮৩১
জয়পুরহাটে ৮টি রেল স্টেশন আছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশন হল ১৮৮৪ সালে ইংরেজ আমলে প্রতিষ্ঠিত জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশন। ঢাকা থেকে সরাসরি কোন ট্রেন জয়পুরহাটে চলাচল করে না তবে দিনাজপুরে চলাচলকারী আন্তঃ নগর ট্রেনে উঠে আপনি জয়পুরহাটে নেমে যেতে পারেন।
দ্রুতযান এক্সপ্রেস
ট্রেন নং: ৭৫৭
ট্রেনের রুট: ঢাকা- দিনাজপুর-ঢাকা
যাত্রাকালীন স্টেশন: ঢাকা
ছাড়ার সময়: সন্ধ্যা ৭:৫০ মিনিট
গন্তব্য: দিনাজপুর
পৌঁছানোর সময়: ভোর ৫:১০ মিনিট
সময় লাগবে: ৯ ঘণ্টা ২০ মিনিট
ট্রেন নং: ৭৫৮
ট্রেনের রুট: দিনাজপুর-ঢাকা-দিনাজপুর
যাত্রাকালীন স্টেশন: দিনাজপুর
ছাড়ার সময়: সকাল ৮:৩০ মিনিট
গন্তব্য: ঢাকা
পৌঁছানোর সময়: সন্ধ্যা ৬:১০ মিনিট
সময় লাগবে: ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট
ট্রেনের সুযোগ সুবিধা সমূহঃ
• ⇒ নামাজের ব্যাবস্থা আছে।
• ⇒ আপনি সরকার নির্ধারিত দামে খাবার ও পানীয় পাবেন।
• ⇒ পাবলিক টয়লেট আছে।
• ⇒ বুকলেট ও ম্যাগাজিন পাবেন পড়ার জন্য অবশ্য আপনাকে এসব কিনতে হবে।
• ⇒ প্রয়োজনে এক বগি থেকে অন্য বগিতে হাঁটার ব্যাবস্থা আছে।
• ⇒ সরকারি রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদান করবে।
• ⇒ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা খুবই কম।
• ⇒আপনি চাইলে বিলাসিতা অথবা সাশ্রয় করে ভ্রমন করতে পারবেন।
• ⇒ আপনি ট্রেনের জানালা দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
• ⇒ অন্য যেকোনো পরিবহনের চেয়ে সাশ্রয়ী।
জয়পুরহাটে আপনি নিম্মে বর্ণিত হোটেলগুলোতে উঠতে পারেনঃ
১। পৃথিবী হোটেল, থানা রোড, জয়পুরহাট।
২। হোটেল সৌরভ ইন্টারন্যাশনাল, থানা রোড, জয়পুরহাট।
আপনি কাছাকাছি রেস্টুরেন্ট অথবা ফাস্টফুডের দোকানের খোঁজ করতে পারেন অথবা সাথে করে খাবার নিয়েও যেতে পারেন।
এই জায়গাটির কাছে কোন এটিএম বুথ নেই। আপনাকে এটিএম বুথের জন্যে জয়পুরহাট শহরে যেতে হবে।
জয়পুরহাটে এটিএম বুথঃ
মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড
৫৫৩ প্রধান সড়ক, জয়পুরহাট সদর।
আপনার প্রশ্ন বা সমস্যার সহযোগিতা করায় আমরা সর্বদা তৎপর!