বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিম অংশে বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের কাছে পশুর নদী এবং মংলা নালার মোহনায় মংলা বন্দরটি অবস্থিত। বাংলাদেশের দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব বন্দর এটি। এই বন্দর দিয়ে মুলত মাছ রপ্তানি করা হয়। মংলা সমুদ্র বন্দরকে সুরক্ষিত করে রেখেছে সুন্দরবন (পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রুভ বন যেটিকে ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো ‘বিশ্ব ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষণা করে।
ঢাকা থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দূরে এবং বাগেরহাট থেকে ৭৪.৭ কিলোমিটার দূরে মংলা বন্দর অবস্থিত। বাগেরহাটে পৌঁছে বাস অথবা ব্যাক্তিগত গাড়িতে করে মংলা বন্দরে পৌছাতে পারবেন। বাগেরহাট থেকে মংলায় যাওয়ার দিক নির্দেশনা পেতে এখানে ক্লিক করুন http://bit.ly/1qywfU4
ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে করে বাগেরহাটে পৌছাতে পারবেন। ঢাকা থেকে বাগেরহাটে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে রয়েছঃ
১। মেঘনা পরিবহন
সায়েদাবাদ টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১৭১৭৩৮৮৫৫৩
ভাড়াঃ ৩৫০/-টাকা
২। শাকুরা পরিবহন
গাবতলি টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১১০১০৪৫০
ভাড়াঃ প্রায় ৫০০/-টাকা
৩। পর্যটক পরিবহন
সায়েদাবাদ টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১১১৩১০৭৮
ভাড়াঃ প্রায় ৩৫০/-টাকা
৪। সোহাগ পরিবহন
গাবতলি টার্মিনাল
যোগাযোগঃ ০১৭১৮৬৭৯৩০২
ভাড়াঃ ৩৮০/- টাকা
প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা মধ্যে তিনটি লঞ্চ এবং একটি স্টিমার ঢাকার সদরঘাট থেকে পিরোজপুরের হুলারহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। হুলারহাটে পৌঁছে আপনাকে বাসে করে অথবা ভাড়া গাড়িতে করে সড়কপথে পিরোজপুর হয়ে বাগেরহাটে পৌছাতে হবে।
ঢাকার সদরঘাট থেকে পিরোজপুরের হুলারহাটের উদ্দেশ্যে চলাচলকারী লঞ্চগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
• আল-খালাদি
• পার্বত
• ফারহানা
• টিপু
ছাড়ার সময়ঃ বিকাল ৫টা
পৌছানোর সময়ঃ সকাল ৯টা
ভাড়াঃ
রেগুলারঃ ১৮০/-টাকা
সিঙ্গেল কেবিনঃ ৫০০/-টাকা
ডবল কেবিনঃ ৮০০/-টাকা
বর্তমানে রাজধানী ঢাকার সাথে বাগেরহাটের আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। তবে, বাগেরহাটে একটি বিমানবন্দর নির্মাণাধীন রয়েছে। সুতরাং, অদুর ভবিষ্যতেই ঢাকা ও বাগেরহাটের মধ্যে আকাশপথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়।
বাগেরহাটে থাকার জন্য খুব বেশি হোটেল নেই। তবে এখানে রেল রোডে অবস্থিত মমতাজ হোটেলে থাকতে পারেন। এই হোটেলটিতে সুযোগ সুবিধা কম থাকলেও সেবার মান মোটামোটি ভাল এবং খরচও একটু বেশি। এছাড়া এই হোটেলের আশেপাশে থাকার জন্য আরো কিছু হোটেল রয়েছে।
১। বাংলাদেশের দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব বন্দরটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
২। এখানে আসলে বিভিন্ন হাট, বাজার এবং মেলা দেখতে পাবেন। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ খান জাহান আলী হাট, মিধাখালি হাট এবং চাঁদপাই মেলা।
মংলা বন্দরের অভ্যন্তরে কয়েকটি চায়ের স্টল রয়েছে। এছাড়া বন্দরের পাশেই অবস্থিত বাজারে খাওয়ার জন্য বেশকিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
আপনার প্রশ্ন বা সমস্যার সহযোগিতা করায় আমরা সর্বদা তৎপর!