বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরকে বাংলাদেশের প্রাচীনতম জাদুঘর হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯১০ সালে পূর্ববাংলায় এটি নির্মাণ করা হয়। জাদুঘরটিতে রাজশাহী এবং নাটোরের রাজাদের ব্যক্তিগত সংগ্রহ রয়েছে। রাজাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শরৎ কুমার রায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরটির রক্ষনাবেক্ষন করে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি জাদুঘরটি গবেষণাতেও কাজে আসে।
এটি রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজারের কাছে অবস্থিত। প্রথমে আপনাকে ঢাকা থেকে রাজশাহী পৌছাতে হবে। এরপর আপনি বাস অথবা রিকশায় গবেষণা কেন্দ্রে পৌঁছে যাবেন।
ঢাকা থেকে রাজশাহীর দূরত্ব ২৬১ কিলোমিটার। রাজশাহীতে যোগাযোগ ব্যাবস্থা খুবই উন্নত। এখান থেকে সারা দেশে সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথে যাতায়াত করা যায়। রাজশাহী শহরে চলাচলের জন্য আপনি রিকশা ট্যাক্সি ক্যাব, অটো রিকশা, ও ঘোড়ার গাড়ি পাবেন।
রাজশাহীতে দুটি আন্তঃনগর বাস টার্মিনাল আছে যেখান থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের উদ্দেশে এসি এবং নন এসি বাস চলাচল করে। রাজশাহী থেকে সড়ক পথে ঢাকা পৌছাতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম জোনের সদর দফতর এই জেলায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে রাজশাহীতে “সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস”, “পদ্মা এক্সপ্রেস” ও “ধুমকেতু এক্সপ্রেস” চলাচল করে। এছাড়াও রাজশাহী থেকে খুলনা ও দেশের অন্যান্য প্রান্তে আন্তঃনগর, মেইল ও লোকাল ট্রেন চলাচল করে।
ইসলামী সাধক হযরত শাহ মখদুম (রঃ) এর নামে নামকরন করা বিমানবন্দরটি রাজশাহী শহর থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত। এখানে ঢাকা এবং সৈয়দপুর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল করে।
১। গ্রীন লাইন(ভলভো), সকাল ৮:৩০ মিনিট, বিকাল ৩:১৫ মিনিট,
রাত ১১:৩০ মিনিট
২। হানিফ এন্টারপ্রাইজ ভোর ৪:৩০ মিনিট থেকে রাত ১১:৩০মিনিট পর্যন্ত
(প্রতি ৩০ মিনিট পরপর )
৩। শ্যামলী পরিবহন ভোর ৫ টা থেকে রাত ১২ টা
(প্রতি ১ ঘণ্টা পরপর )
৪। মডার্ন এন্টারপ্রাইজ ভোর ৬ টা থেকে রাত ১২ টা
(প্রতি ১ ঘণ্টা পরপর )
রাজশাহীতে থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল আছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ
১। পর্যটন মোটেল।
২। হোটেল আল হাসিব, গনকপাড়া, বোয়ালিয়া
৩। হোটেল মুন, সাহেববাজার বোয়ালিয়া
৪। হোটেল রাডার
৫। হোটেল হক্’স ইন,বোয়ালিয়া, রাজশাহী
৬। হোটেল জমজম, হেটমোটা, বোয়ালিয়া
৭। হোটেল প্রিন্স, গনকপাড়া, বোয়ালিয়া
৮। হোটেল সৈকত, লক্ষ্মীপুর,রাজশাহী
৯। ইসলামী আবাসিক হোটেল, লক্ষ্মীপুর, রাজপাড়া
১০। হোটেল সুকন্যা ইন্টারন্যাশনাল, সমবায় সুপার মার্কেট।
১১। হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল,গনকপাড়া
১২। হোটেল স্কাই,মোলপাড়া, বোয়ালিয়া
১৩। হোটেল হ্যাভেন, শারইল বাজার, বোয়ালিয়া
১৪। হোটেল এলিগেনট, গনকপাড়া, বোয়ালিয়া
জাদুঘরের বিভিন্ন গ্যালারী ঘুরে দেখতে পারেন।
এই এলাকায় চোখে পরার মত কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে চাইনিজ, থাই, এবং ফাস্ট ফুড পাওয়া যায়। এমন রেস্টুরেন্টও আপনি পাবেন যেখানে মজাদার খাবার পাওয়া যায়। আপনাকে কাছাকাছি খাবার রেস্টুরেন্ট অথবা ফাস্ট ফুডের দোকান খুঁজে নিতে হবে। অথবা আপনি সাথে করে খাবার নিয়েও যেতে পারেন।
আপনার প্রশ্ন বা সমস্যার সহযোগিতা করায় আমরা সর্বদা তৎপর!