গৌরবময় পুরান ঢাকা

পুরান ঢাকায় দিনব্যাপী প্রমোদভ্রমন

puran dhaka

  • সকাল ৮টা : আপনাকে বাসা থেকে বের হতে হবে।
  • সকাল ৯টা-৯:৩০ মিনিট: ঢাকেশ্বরী মন্দির
  • সকাল ১০টা-১০:৪৫ মিনিট:লালবাগ কেল্লা
  • সকাল ১০:৪৫ মিনিট-১১:৪৫ মিনিট:লালবাগ কেল্লা থেকে তারা মসজিদ
  • সকাল ১১:৪৫ মিনিট-দুপুর ১টাঃ আর্মেনিয়ান গির্জা (সম্ভব হলে)
  • দুপুর ১টা-২টাঃ মধ্যাহ্ন বিরতি
  • দুপুর ২টা-৩টাঃ আহসান মঞ্জিল
  • দুপুর ৩টা-৪টাঃ বুড়িগঙ্গা নদীতে সংক্ষিপ্ত নৌকা ভ্রমন
  • দুপুর ৪টা-৫টাঃ শাঁখারিবাজার ও কাছাকাছি মন্দিরসমুহ

ভ্রমনের বিস্তারিত বিবরণঃ

সকাল ৯টা-:৩০ মিনিট: ঢাকেশ্বরী মন্দির | ঘুরে দেখতে আনুমানিক সময় লাগবেঃ ৩০মিনিট

Dhakeshwari_Mandir

ঢাকা শহরের সবচেয়ে প্রাচীন মন্দিরের নাম ঢাকেশ্বরী মন্দির। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন এখানে রক্ষিত হিন্দু দেবী “দুর্গা”র একটি ছোট ধাতু নির্মিত প্রতিমার উপাসনা করে থাকেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই প্রাচীন মন্দিরটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরবর্তীতে ঢাকেশ্বরী মন্দির পুনঃনির্মাণ করা হয়।

সকাল ১০টা-১০:৪৫ মিনিট:লালবাগ কেল্লা | ঘুরে দেখতে আনুমানিক সময় লাগবেঃ ৪৫ মিনিট

Lalbagh_Fort

ঢাকা শহরকে বহিঃশত্রুর আক্রমন থেকে রক্ষা করতে ১৬৭৮ সালে সুবেদার আজম শাহ লালবাগ কেল্লা নির্মাণ করেন। আজম শাহ’র পর শায়েস্তা খাঁ ক্ষমতায় এলেও তাঁর কন্যা পরীবিবির মৃত্যুর পর এই কেলাটির নির্মাণকাজ অসমাপ্ত রয়ে যায়। এখনও লালবাগ কেল্লাকে মুঘল আমলের অন্যতম সেরা স্থাপনা বলা যেতে পারে।

সকাল ১০:৪৫ মিনিট-১১:৪৫ মিনিট: তারা মসজিদ | ঘুরে দেখতে আনুমানিক সময় লাগবেঃ ২৫ মিনিট

Star-Mosque

চমৎকার নকশা অলংকৃত তারা মসজিদে নীল তারার অবয়ব খচিত রয়েছে। ১৯শতকের প্রথমার্ধে মির্জা গোলাম পীর এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। ঢাকা শহরের মসজিদগুলোর মধ্যে পাঁচগম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি ঘুরে দেখা অবশ্যই করনীয়।

সকাল ১১:৪৫ মিনিট-দুপুর ১টাঃ আর্মেনিয়ান গির্জা | ঘুরে দেখতে আনুমানিক সময় লাগবেঃ ৪৫ মিনিট

Armenian Church

আরমানিটোলার আর্মেনিয়ান স্ট্রিটে ১৭৮১ সালে নির্মাণ করা হয় আর্মেনিয়ান গির্জা। গির্জা নির্মাণের পূর্বে এখানে একটি আমেরিকান কবরস্থান ছিল। মূল গির্জাটি সারাবছর তালাবদ্ধ থাকলেও বলা হয়ে থাকে যে জানুয়ারি মাসে এই গির্জাটি প্রার্থনার জন্য খুলে দেওয়া হয়। মানুষ এই গির্জাটি দেখতে এসে শান্তি লাভ করে থাকে।

দুপুর ২টা-৩টাঃ আহসান মঞ্জিল | ঘুরে দেখতে আনুমানিক সময় লাগবেঃ ৪৫ মিনিট

Ahsan_Manzil-Front_View

আহসান মঞ্জিল ছিল ঢাকার নবাব পরিবারের সরকারী বাসভবন ও দরবার। নয়নাভিরাম এই ভবনটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কুমারতলীতে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত। ১৮৫৯ সালে শুরু হয়ে এই প্রাসাদের নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৮৭২ সালে। ইন্দো-সারাসেনিক রিভাইভাল স্থাপত্যশৈলীতে এই প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে আহসান মঞ্জিলকে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

দুপুর ৪টা-৫টাঃ শাঁখারিবাজার | ঘুরে দেখতে আনুমানিক সময় লাগবেঃ ৪৫ মিনিট

Shakhari Bazar

শাঁখারিবাজারকে অনেকসময় হিন্দু স্ট্রিট বলা হয়ে থাকে। এখানে আসলে রাস্তার পাশে মিষ্টির দোকান দেখতে পারবেন। বিভিন্ন হিন্দু দেব ও দেবীর প্রতিমা নির্মাণ ও বিক্রি করা হয় শাঁখারিবাজারে। এছাড়া হিন্দু স্ট্রিটে বেশকিছু মন্দিরও রয়েছে। এসব মন্দিরের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলোঃ শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির এবং শ্রী শ্রী শানিদেব মন্দির।

কথা বলুন

এই মুহূর্তে অনলাইনে না থাকায় আমরা দুঃখিত! কিন্তু আপনি আমাদের ই-মেইল পাঠাতে পারেন। আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেব।

আপনার প্রশ্ন বা সমস্যার সহযোগিতা করায় আমরা সর্বদা তৎপর!

ENTER ক্লিক করুন